প্রাণ গেলেও নরেন্দ্র মোদীকে তিনি এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বেন না। শেষ দফার নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে মমতার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করতে যে কোনও আত্মত্যাগে তিনি রাজি। সেই লক্ষ্যেই দলের নেতাদের উপরে রাগ থাকলেও তা ভুলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
এ দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় প্রচারে যান মমতা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা, বাসন্তী এবং ক্যানিংয়ের মতো এলাকায় তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের প্রচারের উপরে জোর দেন মমতা। একই সঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে এনআরসি চালু করে মানুষকে দেশছাড়া করার চেষ্টা করা হবে। ভোট এলেই যে বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, সেই অভিযোগও ফের করেন মমতা।
এই প্রসঙ্গেই মমতা বলেন, এই মুহূর্তে বিজেপি-কে হারানোই সবথেকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তাই তৃণমূলের কোনও নেতার উপরে সাধারণ মানুষের রাগ থাকলেও এখন তা ভুলে যেতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতাকে বলেন, তাঁর উপরে চাপ দিতে দিতে হয়তো তাঁকে মেরেই ফেলা হবে। কিন্তু মরে গেলেও তিনি বিজেপি-কে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী। বরং হুঙ্কারের সুরে তিনি বলেন, "একদিন আসবে, যেদিন এসব কিছুর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব।"
এরাজ্যে বিজেপি-র ভাল ফল করার দাবিকেও কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি ফের দাবি করেন, এ রাজ্য থেকে গোল্লা পাবে বিজেপি। তবে শুধু বাংলা নয়, তার লক্ষ্য যে বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করা, সেটাই বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নরেন্দ্র মোদীকে তিনি দিল্লি থেকে তাড়াবেন। তার জন্য তিনি যে কোনও আত্মত্যাগেও রাজি বলে জানান মমতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও বার্তা দিতে চাইছেন মমতা। নিজেদের স্বার্থ দূরে সরিয়ে একজোট হয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে না লড়লে যে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা।