ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগে বৃহস্পতিবার ওল্ড দিঘার সরকারি অতিথিশালা "দীঘি"তে প্রশাসনিক বৈঠক করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই বৈঠকে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ সহ অন্যান্য জেলা পদাধিকারীরা ছিলেন।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজী জানান, জেলার ২৫টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে রামনগর -১/২,খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, মহিষাদল কোলাঘাট সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রত। জেলায় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের ফলে রাজ্যের মূলত তিনটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সাইক্লোন যশ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। রাজ্যের পাশাপাশি, ওডিশাতেও যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। যশ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা রয়েছে মোদীর।
শুক্রবার আকাশপথে সার্ভে করবেন প্রধানমন্ত্রী। বালেশ্বর, ভদ্রক ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। এরপরেই পশ্চিমবঙ্গে একটি বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি। কলকাতা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বইছে হাওয়া। এই মুহূর্তে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তিক্ষয় হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ। সকাল থেকেই শহরের আকাশ মেঘলা। বেলা বাড়তেই শুরু হয় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। দুপুরের দিকে ভারী বৃষ্টি হয় শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তিক্ষয় হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ। ওড়িশা থেকে ঝাড়খন্ডের দিকে সরে গিয়েছে। যাওয়ার পথে প্রবল বর্ষণ ঘটিয়েছে যশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খন্ডে যশ ঘূর্ণিঝড়ের ঘতিবেগ ৫৫ কিমি প্রতি ঘন্টায় এসে দাড়িয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গঙ্গার কাছাকাছি কালীঘাট, রাসবিহারী এবং ভবানীপুরের একাংশ জলমগ্ন হয়েছে। গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় যেখানে যশের পর জল জমেছে, সেই এলাকাগুলিতে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কেউ বিদ্যুৎ পৃষ্ট না হয়ে যায়, তাই এদিন বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলেছেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং সিইএসসিকে।