নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্য়ের হিংসাত্বক পরিস্থিতির জন্য একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে দায়ী করেছেন দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপির রাজ্য় সভাপতির অভিযোগ, রাজ্য়ে লুঙ্গি সন্ত্রাস চলছে। সব জেনেও কিছুই করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ের পাল্টা দিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা।
এক অনুষ্ঠানে রাজ্য়ের মন্ত্রী বলেন, ঐ লোকটার নিজের পূর্ব পশ্চিম জ্ঞান নেই। নিজের সাংসদ হয়ে রাখাল পাগলের মত কথা বলছে। মুসসলিমরা রাজ্য়ের হিংসার সঙ্গে যুক্ত কিনা তার উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাজারে টুপি কিনতে পাওয়া যায়। টুপি পরা থাকলেই কে কোন সম্প্রদায় বোঝা মুশকিল। একজন সৎ মুসলিম কখনও হিংসার কাজে মদত দিতে পারে না। বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কিছু লোক এই কাজ করছে।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি মন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী রবিবার কলকাতায় তাদের সংগঠনের জমিয়েত উলেমা-এ হিন্দ একটি সভা ডেকেছে। সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলা হবে সবাইকে। সব ধর্মের মানুষদেরই সেখানে উপস্থিত থাকার আহ্বান করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছেন রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন রাজ্য়ের হিংসাত্বক পরিস্থিতির জন্য মুখ্য়মন্ত্রীকে দায়ী করে এমনই মন্তব্য় করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, রাজ্য়ে এতদিন হয়ে গেল আগুন জ্বলছে,কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলতে পারছে না প্রশাসন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সব জানেন, তবুও কিছু বলতে পারছেন না। এই লুঙ্গি সন্ত্রাস রাজ্যে বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারে ডুবে যাবে।
তবে এই প্রথমবার নয়। রাজ্য়ে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। গতকাল তিনি বলেন,মুখ্যমন্ত্রী কি অনুপ্রবেশকারীদের দালাল, না উনি উগ্রপন্থী মুসিলমদের দালাল ? ওদের ভিডিয়ো দেখছি আর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনছি একই মনে হচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাজ্য়পাল কথা বলেছেন। উনি যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। আমরা ওনাকে পূর্ণ সমর্থন করি। মুখ্য়মন্ত্রীর সব সময় দেশবিরোধী কথা বলেছেন। উনি পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন। তাই রাজ্য়পালের কথায় ওনার কষ্ট হচ্ছে।