সামান্য সাইকেলের ধাক্কা, ছেলের সামনেই পিটিয়ে মারা হল বাবাকে

  • রাজ্যে ফের গণপিটুনি
  • সাইকেলের ধাক্কায় লাগায় যুবককে বেধড়ক মার
  • সাতদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আক্রান্ত
  • শুক্রবার মারা যান তিনি
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 7, 2020 9:41 AM IST / Updated: Feb 07 2020, 06:06 PM IST

ছেলেধরা কিংবা চোর সন্দেহে নয়,  এবার সাইকেলে ধাক্কা লাগায় গণপিটুনির শিকার হলেন এক যুবক! বেধড়ক মারে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শুক্রবার ভোরে মারা যান ওই যুবক। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার বিশরপাড়ার উত্তর সপ্তগ্রাম এলাকায়। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে নিমতা থানার পুলিশ। অভিযুক্তেরা এখনও অধরা। 

ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যখন সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিকাশ মাঝি নামে ওই যুবক, তখন বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন পিয়ালী দাস ও সুমিতা মাঝি নামে দুই মহিলা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁদের সতর্ক করার জন্য বেল বাজান বিকাশ। কিন্তু গল্পে এতটাই মশগুল ছিলেন যে, বেলের শব্দ পাননি কেউই। শেষপর্যন্ত সাইকেল নিয়ে পাশ কাটাতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ধাক্কা লাগে পিয়ালী ও সুমিতার গায়ে। এরপর ওই দুই মহিলার সঙ্গে সাইকেল আরোহীর বচসা শুরু হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। পিয়ালী আবার নিজের স্বামী সুজয় দাসকে ডেকে আনেন। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকাই বিকাশের উপর চড়াও হয় পিয়ালী, তাঁর স্বামী সুজয় ও সুমিতা। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীদের খবর দেয় আক্রান্ত যুবকের ছেলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা বিকাশকে উদ্ধার করেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

শুক্রবার ভোরে ওই যুবকের মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশরপাড়ার উত্তর সপ্তগ্রাম এলাকায়। অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় নিমতা থানার পুলিশ।  কোনও অভিযোগ দায়ের করা না হলেও, পুলিশই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তেরা ফেরার  এর আগে উত্তর ২৪ পরগণারই বসিরহাটে এক ছাত্রীকে অশ্লীল গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক পুলিশকর্তাকেই গণধোলাই দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

Share this article
click me!