মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরে মাঝেই জলপাইগুড়িতে এনআরসি আতঙ্কে ফের আত্মঘাতী এক যুবক। বুধবার সকালে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের রাজডাঙা পঞ্চায়েতে এলাকায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আত্মঘাতী যুবকের নাম দেবারু মহম্মদ। পেশায় তিনি দিনমজুর। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ডুয়ার্সের রাজডাঙা পঞ্চায়েতের উত্তর বারোঘরিয়া গ্রামে। পরিবারের লোকে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই এনআরসি আতঙ্কে ভুগছিলেন দেবারু। আতঙ্ক এতটাই ছিল যে, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বেলার দিকেও যথারীতি আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে থেকে বেরোন বছর পঁয়ত্রিরিশের ওই যুবক। কিন্তু রাতের আর ফেরেননি। বুধবার সকালে গ্রামেই একটি নিমগাছে দেবারু মহম্মদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁর পায়ে নিচে পড়েছিল আধার কার্ড। খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। সত্যিই কি এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করলেন দেবারু? শুরু হয়েছে তদন্ত।
এদিকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক বৈঠকে সাধারণ মানুষকে এনআরসি নিয়ে আশ্বস্ত করছেন। কিন্তু আতঙ্ক আর কাটছে কই! কয়েক মাস আগেই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে পূর্ব পুরুষের নথি ও বাড়ির দলিল জোগাড় করতে গিয়ে এক যুবককে হয়রান হতে হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুরনো নথি না পেয়ে এনআরসি আতঙ্কে আলিপুরদুয়ারেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক প্রৌঢ়া।