বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে খুন করল প্রেমিক। এর পর নিজেও আত্মঘাতী হল সে।
মৃত ওই গৃহবধূর নাম বন্যা মণ্ডল। বছর পাঁচেক আগে তাঁর সঙ্গে মন্তেশ্বরের চন্দনপোতা গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে কাজ করতে আসে পেশায় রাজমিস্ত্রি দীপক হালদার। কান্দির বাসিন্দা দীপকের সঙ্গে পরিচয় হয় বন্যার। ধীরে ধীরে দু' জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এর পর হঠাৎই একদিন দীপকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ।
প্রায় চার মাস দীপকের সঙ্গেই ছিলেন বন্যা। সম্প্রতি ওই গৃহবধূর বাবা গিয়ে অনেক বুঝিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু স্ত্রীকে প্রথমে ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি তাঁর স্বামী। ফলে, বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন ওই গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন বন্যার বাবা। বন্যাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হন তাঁর স্বামীও। শুক্রবারই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কোনওভাবে সেই খবর পায় দীপক। এ দিন ভোররাতে আচমকাই বন্যার বাড়িতে ঢপুকে তাঁর উপরে হামলা চালায় সে। নৃশংসভাবে কুপিয়ে নিজের প্রেমিকাকে খুন করে ওই যুবক। চিৎকার চেঁচামেচিতে পরিবারের বাকি সদস্যরা এসে বাধা দিলে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে ওই যুবক। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ঘুর্ণি গ্রামে একটি গাছের মধ্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে দীপক। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেহ দু'টি ময়নাতদন্তে পাঠায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে তারা।