ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা এসেছিলেন মা। কিন্তু সেখানেই নিজের স্বামীর হাতে খুন হতে হল গৃহবধূকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলার মেমানপুরে। মৃত গৃহবধূর নাম মধুমিতা কর্মকার (২৮)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় পনেরো বছর আগে মহেশতলার মেমানপুরের বাসিন্দা শিবু কর্মকারের (৪৩) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বজবজের কালিকাপুরের বাসিন্দা মধুমিতা কর্মকারের। তাঁদের এগাপো বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
২০১৭ সাল থেকেই দাম্পত্য কলহের কারণে আলাদা থাকতেন মধুমিতা এবং শিবু। শনিবার তাঁদের একমাত্র সন্তান ইমনের জন্মদিন ছিল। সে তার বাবার সঙ্গেই থাকত। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মধুমিতা তার বোনকে নিয়ে মেমানপুরের বাড়িতে এসেছিলেন। অভিযোগ, প্রথমে শিবু তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু মধুমিতা তাঁর বোনকে নিয়ে মহেশতলা থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ জানিয়ে ফের ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বামীর বাড়িতে ফেরেন। অভিযোগ, তখনই শিবু একটি চপার দিয়ে স্ত্রী মধুমিতাকে ছেলের সামনেই কোপাতে শুরু করে।
মধুমিতা ও তাঁর ছেলের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে গেলে শিবু ছেলেকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানার পুলিশ চলে আসায় সে পালাতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে পাড়ার লোকজনের মধুমিতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মধুমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চোখের সামনে মাকে হত্যার ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ছোট্ট ইমন। তার ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন চিন্তিত তার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা।