শ্বশুরবাড়ি এসে পড়শি গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া জামাইয়ের। বিবাহিতা মহিলার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় জামাইকে ধরে ফেললেন পাড়ার মহিলারা। এর পরেই অভিযুক্ত জামাই এবং গৃহবধূকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসীরা । শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পালপাড়া এলাকায়। পুলিশ এসে ওই দু' জনকে কালিয়াগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের বাসিন্দা নিমাই সন্ন্যাসী কালিয়াগঞ্জ থানার পূর্ব পালপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন। এরপর তিনি এক প্রতিবেশী গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন। এলাকার লোকেরা ওই মহিলার ঘরে ঢুকে আপত্তিকর অবস্থায় দু' জনকে দেখতে পান। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা দু' জনকে গাছে বেঁধে রাখে।
বিবাহিত ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী এবং পূর্ব পালপাড়ার জামাই নিমাই সন্ন্যাসী ভিনরাজ্যে একসঙ্গে শ্রমিকের কাজ করেন। সেই সুত্রেই নিমাই সন্ন্যাসীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই গৃহবধূ জানান, তাঁর দীর্ঘদিন ধরেই সংসার খরচের কোনও টাকা পয়সা পাঠান না। তার দু'টি সন্তান রয়েছে। তাদেরও কোন খোঁজখবর নেন না তিনি। সেই কারণেই নিমাই সন্ন্যাসীকে বিয়ে করার জন্য ডেকে পাঠান।
পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ স্বীকারল করেন, তিনিই নিমাই সন্ন্যাসীকে বাড়িতে ডেকে ছিলেন। তাঁরা দু' জন বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেv। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশীদের বক্তব্য, দু' জন বিবাহিত পুরুষ ও মহিলা আইনত এই কাজ করতে পারেন না। সে কারণেই তাঁরা তাদের গাছে বেঁধে পুলিশকে খবর দিয়েছেন।
অন্যদিকে নিমাই সন্ন্যাসী বলেন, তাঁর বাড়ি সুন্দরবনে। কিছুদিন আগে সে কালিয়াগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল। তাঁর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও স্ত্রী সঙ্গে গত দেড়-দু' বছর কোন যোগাযোগ নেই তাঁর। নিমাইবাবু জানান, তাঁরও তিন সন্তান রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনার রীতিমতো হতবাক হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকেরাও। তাঁরা বলেন, দু' জনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করা হবে।