বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি কর্নাটকের আদালত তিন দিনের স্থগিতাদেশ গিয়েছে। তিন দিন পরে যদি হিজাবের পক্ষে রায় না আসে তাহলে তারা রাজ্যজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।
হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে (protest against hijab) বিক্ষোভ মিছিল (Massive procession) হাওড়াতে। স্কুল ও কলেজে হিজাব পড়া নিয়ে কর্নাটক রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এবার সেই বিতর্কের আঁচ এসে পড়ল খোদ হাওড়া শহরে (Howrah)। হিজাবের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম ল কাউন্সিলের নেতৃত্বে বহু মানুষ হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে মিছিল করে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকায়। তাদের দাবি গণতান্ত্রিক দেশে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। কেউ এই স্বাধীনতা হরণ করতে পারে না। হিজাব পরিধান করা নারীদের অধিকার। কিন্তু কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায় এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তাদের আরো দাবি হিজাব পরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি কর্নাটকের আদালত তিন দিনের স্থগিতাদেশ গিয়েছে। তিন দিন পরে যদি হিজাবের পক্ষে রায় না আসে তাহলে তারা রাজ্যজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
যদিও এই হিজাব বিতর্কে তিন তালাক বন্ধ করার অন্যতম পিটিশনার ইশরাত জাহান দাবি করেন যে শরীয়ত আইনে পর্দা প্রথা মুসলিম সম্প্রদায়ের চিরাচরিত প্রথা। দেশের সংবিধানও তাদের সেই অধিকার দিয়েছে। তবে স্কুল ও কলেজের ক্ষেত্রে অভিন্ন পোশাক বিধি রয়েছে। সেটা মেনে চলা উচিত সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের। না হলে স্কুল, কলেজে সমানাধিকার থাকবে না।
তিনি আরও দাবি করে বলেন কর্ণাটকের ওই কলেজে ক্যাম্পাসের মধ্যে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করেনি। বরং শ্রেণীকক্ষে হিজাব পড়ে ক্লাস করা নিষেধ করেছিল। উল্লেখ্য হিজাব নিয়ে তুমুল বিতর্কে যোগ দিয়েছেন রাজনীতিবিদরা, কথা হচ্ছে ভারতের বাইরেও - মালালা ইউসুফজাইএর মত নারী অধিকারকর্মীও এ নিয়ে টুইট করেছেন। আপাতত সোমবার কর্ণাটক আদালত কি রায় দেয় তার দিকেই তাকিয়ে আছে দেশ।
এদিকে, কর্নাটক হাইকোর্ট বলেছে, 'আমরা রাজ্য সরকার ও অন্যান্য সমস্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় খোলা ও পডুয়াদের তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এই সমস্ত আবেদন বিবেচনার অপেক্ষায় আমরা ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে ছাত্রদের কলেজের মধ্যে গেরুয়া শাল বা ভাগওয়া পরতে নিষেধ করছি। অন্যদিকে স্কার্ফ, হিজাব ধর্মীয় পতাকা বা ক্লাসরুমের মধ্যে এজাতীয় জিনিস না পরার অনুরোধ করা হচ্ছে।' 'পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।' জানিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।