হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রত্যেক রোগীকে আলাদা ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগীকে সুস্থ করে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।
২১ তারিখ বিকেলে আচমকাই হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কারখানায় (Haldia refinery Accident) আগুন লাগে। আগুনের ঘটনায় (IOC Fire Accident) এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ৪০ জন। তাদের চিকিৎসা চলছে হলদিয়া বিভিন্ন নার্সিংহোমে। সেখান থেকে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। বাইপাসের ধারে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Medica Superspecialty Hospital) ১০জন অগ্নিদগ্ধ রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।
এক প্রেস বিবৃতিতে মেডিকার তরফে জানানো হয়েছে ওই রোগীদের শরীরের ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাদের হাসপাতালের বার্ণ আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সারাক্ষণ তাঁদের পর্যবেক্ষণের জন্য ক্লিনিক্যাল ও নার্সিং টিম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্লাস্টিক সার্জন, সিনিয়র কনসালটেন্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার এবং পালমোনোলজিস্টদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড দল গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রত্যেক রোগীকে আলাদা ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগীকে সুস্থ করে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। কারখানায় শার্টডাউনের কাজ চলাকালীন আগুন লেগে যায়। আগুনে পুড়ে আহত হয় ৪৩ জনের মতো। কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের চেষ্টায় তাঁদের সংস্থার নিজস্ব হাসপাতাল সহ অন্যান্য নার্সিংহোম চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে লাগে। বেশিরভাগ শ্রমিক প্রায় ৭০-৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার কারখানায় আগুন লাগে। মৃত্যুর ঘটনাও হয়েছে। তারপর আবারও এই ধরনের আগুনের ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আহত শ্রমিকদের পাশে হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর হাজির হয়েছেন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনও বিশেষ কিছু তথ্য জানাচ্ছেন না।
মূলত প্রতিবছরেই হলদিয়া রিফাইনারিতে শার্টডাউন অর্থাৎ রিফাইনারি সংষ্কারের কাজ হয়। ঠিক তেমনভাবেই এদিনও কাজ চলছিল। আচমকাই বিকেলের দিকে কাজ চলাকালীন ওয়েলডিং মেশিন থেকে আগুনির ফুলকি ছিটকে সোজা গিয়ে পড়ে ন্যাপথা ট্যাঙ্কে। আর এরপরেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। গুরুতর জখম হয় প্রায় ৪০ জন। আহতদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে চার-পাঁচ জনের অবস্থা উদ্বেগজনক। এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ইতিমধ্যেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। দুর্ঘটনা (Haldia refinery Accident) নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।