বন্দুক উঁচিয়ে টাকা চাইল দুষ্কৃতীরা, রাতে মেদিনীপুর শহরে চলল কয়েক রাউন্ড গুলি

শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৮টা। হঠাৎই মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মা এলাকায় একটি ধাবাতে প্রথমে হাজির হয় চার সশস্ত্র যুবক। পিস্তল দেখিয়ে দোকানদারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে তারা। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 29, 2021 5:15 AM IST / Updated: Aug 29 2021, 12:20 PM IST

কোনও সিনেমা নয়, বাস্তবেই দফায় দফায় চলল গুলি। দৃশ্যপট একেবারে সিনেমার মতো হলেও আদতে তা মেদিনীপুর শহরের বাস্তব চিত্র। এই শুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মনে। শহরের দুটি জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সশস্ত্র অবস্থায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তারাও শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। 

শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৮টা। হঠাৎই মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মা এলাকায় একটি ধাবাতে প্রথমে হাজির হয় চার সশস্ত্র যুবক। পিস্তল দেখিয়ে দোকানদারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে তারা। তারা প্রায় ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ। ওই সময় পিস্তল বের করে চার যুবকই দাপট দেখায়। এরপর দোকানদারকে বলে 'টাকা জোগার করে রাখ আমরা ঘুরে আসছি।' এই বলে ধাবার মধ্যেই শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। হোটেলের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে এই ঘটনার ফুটেজ। 

আরও পড়ুন- নাবালক আবাসিকদের উপর যৌন নির্যাতন, কাঠগড়ায় সোনারপুরের ছাত্রাবাস, ধৃত ২

এরপর ওই ধাবা থেকে বেরিয়ে তারা চলে যায় মেদিনীপুর শহরের মহতাবপুর এলাকায় পদ্মাবতী শ্মশানঘাটে। অভিযোগ, সেখানে এক যুবকের খোঁজ করে তারা। এরপর এক  শবযাত্রীদের মধ্য়ে থাকা এক যুবকের বুকে বন্দুক রেখে তাঁর থেকে টাকা চায়। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আসলে শ্মশানেই এসেছিলেন। নিকট আত্মীয়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে শ্মশানে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই তাঁর উপর হামলার ছক কষে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। তবে কপাল জোরে তিনি কোনওক্রমে রক্ষা পান। কোনওরকমে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। তারপরও শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 

 আরও পড়ুন, প্রৌঢ়ের যৌন লালসার শিকার সারমেয়, ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ধৃত বেহালার বাসিন্দা

ওই ব্যক্তির কথায়, "আমি তো নিজেও বুঝতে পারছি না, কেন আমাকে মারতে চায় ওরা। আমার সঙ্গে তো কোনও শুত্রুতা নেই। কোনওদিন অশান্তিও হয়নি। আচমকাই কেন খুন করতে চায়, সেটা ভেবেও বুঝতে পারছি না। আমি তো শ্মশানে এসেছিলাম আত্মীয়ের শেষকৃত্যে। তার মধ্যেই এই ঘটনা। এর আগেও আমার উপর হামলা হয়েছে। সেবারও কোনওক্রমে বেঁচে যাই।" প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি জানিয়েছেন তিনি।  

আরও পড়ুন, Vistadome: আজ থেকেই যাত্রা শুরু 'ভিস্তাডোম'-র, পুজোর আগেই বড় উপহার রেলের

এই ঘটনার পরই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দেয় পুলিশ। ধর্মার ধাবাতে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়। রাতেই একজনকে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ধৃত যুবক মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও শীঘ্রই ধরা যাবে। 

Share this article
click me!