আরব মুলুকে করোনায় মৃত্যু যুবকের, ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যের সাক্ষী পরিবার

  • আবর মুলুকে করোনায় মৃত্য়ু যুবকের
  • দেহ ফেরানোর অনুমতি দিল না সরকার
  • ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যের সাক্ষী পরিবার 
  • মুর্শিদাবাদের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : Jun 17, 2020 7:27 PM IST

ভিন রাজ্যে নয়, চাকরি করতে গিয়েছিলেন আরব মুলুকে। করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর পর দেহ দেশে ফেরানো অনুমতি দিল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভিডিও কনফারেন্সে ছেলের শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকলেন পরিবারের লোকেরা। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে।

আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পিপিই মডেলে ইতি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করল সরকার

মৃতের নাম মহম্মদ খায়রুল রিজভি। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কাঁকুলিয়া গ্রামে। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়া ছিলেন মহম্মদ। বছর তিনেক আগে চাকরি নিয়ে চলে যান বাহরিনে। সেখানকার একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরি করতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময়ে ওই যুবক বাড়িতে ফিরতে পারেননি। কিন্তু করোনা হাত থেকে আর বাঁচতে পারলেন কই! দিন সাতেক ভর্তি ছিলেন বাহরিনের একটি হাসপাতালে। সোমবার ভোরে রাতে মারা যান রিজভি। ভিনদেশে যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেই কোম্পানি তরফে ফোনে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে সকলেই।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের বিমান-সফর, কোয়ারেন্টিনে ২ পাইলট সহ ৪ সেবিকা

ছেলে তো আর ফিরবেন না, তাঁর নিথর দেহটি অন্তত যদি ফিরিয়ে আনা যায়! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবারে লোকেরা। সাধারণ নিয়মে করোনা মৃতের দেহ দেশে ফেরোনো সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও আবেদন বিবেচনা করার আশ্বাস মিলেছিল। অন্তত তেমনই দাবি বাড়ির লোকেদের। কিন্তু শেষপর্যন্ত অবশ্য তা আর সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বাহরিনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মহম্মদ খায়রুল রিজভির। মুর্শিদাবাদের বাড়িতে বসে ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যের দেখতে হয় পরিবারের লোকেদের।  স্রেফ বিদেশে মৃত্যুর কারণে যে ছেলেকে শেষ দেখাও দেখতে পাবেন না, তা ভাবতেই পারেননি কেউ। 

Share this article
click me!