পুরুলিয়ায় যে কংগ্রেস এখনও শক্তিশালী তার প্রমাণ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেস শিবিরে যোগদান। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ঝালদায় শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী যোগদান করলেন কংগ্রেসে।বাগমুন্ডির বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো তাদের কংগ্রেসে এনে জোর ধাক্কা দিলেন ঘাসফুল শিবিরকে।
তৃণমূল কংগ্রেসে দীর্ঘদিন কোমর বেঁধে লড়াই করছেন তবু দল তাদের যোগ্য সন্মান দিচ্ছে না।অভিমানে তাই ঝালদা দড়দা অঞ্চলের শতাধিক নেতা কর্মী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সদল বলে যোগদান করলেন কংগ্রেসে। যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন কাঁটাডির বুথ সভাপতি শেখ রওশন আলি,অশোক কুইরি,জয়দেব কুইরি,লালবাবু রজক বিমল চন্দ্র মাহাতো সহ আরও অনেকে। কংগ্রেসে যোগদান করে সকলের মুখে একটাই কথা মন প্রাণ লাগিয়েও যে দলে কাজ করে কোনও সন্মান নেই,সেই দলে থেকে কোনও লাভ নেই।
২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় তৃণমূল সভাপতি বদলের সাথে সাথে পুরুলিয়াতেও শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে গুরুপদ টুডুকে সভাপতি করেছে দল।দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল এবং বিজেপিকে আটকাতেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এরই মাঝে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঘাসফুল শিবির। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নব নির্বাচিত সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন।সদ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি।বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। নেপাল মাহাতো এ বিষয়ে বলেন ওরা খোঁজ নিতেই থাকুক এর পর আরও কতজন কংগ্রেস শিবিরে আসবে সেটাও দেখতে পাবে।ঝালদা দড়দা অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন।আরও অনেক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেসে আসার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।
২০১১ থেকে ২০০১৬ বিধান সভা নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফলাফল করলেও এখনও পর্যন্ত বাগমুন্ডি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বাগমুন্ডি বিধানসভা এলাকায় পরপর মিটিং করলেও বারবার জয়লাভ করেছেন কংগ্রেসের নেপাল মাহাতোই। জেলার রাজনৈতিক মামচিত্রে বরাবরই বাগমুন্ডি বিধানসভা এলাকা তাই নেপাল মাহাতোর গড় বলেই পরিচিত। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তাই নেপাল মাহাতোকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে বেশ বেগ পেতে হবে তা এক প্রকার জলের মতোই পরিষ্কার।