পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলে আবার বলব জয় শ্রীরাম। কাঁচড়াপাড়া কাণ্ডে এভাবেই তৃণমূলকে জবাব ফেরালেন মুকুল তনয় শুভ্রাংশু।
কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী আলো রানী সরকারের বাড়িতে ব্যারাকপুর লোকসভা তথা বীজপুর অঞ্চলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক ঘরোয়া বৈঠক ছিল তৃণমূলের। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ,দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক নির্মল ঘোষ,তাপস রায়-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে যোগ দিতে আসার সময়ে তাঁদের লক্ষ্য করে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় বেশ কিছু বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। অতীতেরই পুনরাবৃত্তি। তাই এবার তৈরিই ছিল পুলিশ।
বীজপুর থানার পুলিশ বিজেপি সমর্থকদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে অনেকে। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মৃদু লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়।
বেশ কিছুক্ষণ মিটিং চলার পর যখন সকলেই মিটিং শেষ করে বাইরে বের হন, তখন ফের প্রথম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ।পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কোনও ক্রমে পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে এবারও তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায়। তৃণমূলের নেতৃত্বে সেখান থেকে চলে যাবার পর বিক্ষোভকারীরা পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশনে গিয়ে রেল অবরোধ শুরু করে । ১৫ মিনিট এরপর নিজেরাই অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
ঘটনা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর কানে যেতেই বাছা বাছা শব্দে উত্তর দিলেন তিনি। পার্টি অফিস দখল প্রশ্নে শুভ্রাংশুর ষ্পষ্ট দাবি, " দলিল, বিদ্যুৎ বিল দেখাতে পারলে আমি আমার ছেলেদের বলব ঘর খালি করে দিতে।"
কিছুদিন পরেই মমতার মিটিং কাঁচড়াপাড়ায়। কী করবেন সেই সময়ে। মুকুল পুত্রের ফিচেল উত্তরঃ 'বলব জয় শ্রীরাম।' দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে জানেন বাপকা বেটা।