রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণের সময় এদিন দিনভর উঠে এল অশান্তির ছবি। এমনকি একাধিক জায়গায় ব্যাপক আক্রমণ চালানো হল সংবাদমাধ্যমেরও উপরেও।
কোথাও ঝরল রক্ত, কোথাও দেদার ছাপ্পা, তো কোথাও ভাঙল ইভিএম। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণের সময় এদিন দিনভর উঠে এল এই চিত্রই। এমনকি একাধিক জায়গায় ব্যাপক আক্রমণ চালানো হল সংবাদমাধ্যমেরও উপরেও। একাধিক মিডিয়া হাউসের ক্যামেরা পার্সন ও রিপোর্টারদের উপরেও ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে। আর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তৃণমূলে দিকে। রবিবার রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। শেষ হয় বিকেল ৫টায়। মোট ২,২৭৬টি বুথ রয়েছে ১০৮টি পুরসভায়(108 Municipal Elections,)। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মোট ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ। ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। কিন্তু অশান্তির আবহেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
এদিকে এদিন পুরভোট চলাকালীন একাধিক জায়গায় বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগ আসতেই কলকাতায় রাস্তায় নামে বিজেপি। লালবাজারের সামনে চলে ব্যাপক বিক্ষোভ। তাদের সাফ অভিযোগ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ব্যাপক হিংসা, কারচুপি চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর অভিযোগেই আগামিকাল সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। যা নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। বিজেপির সাফ দাবি সিংহভাগ বুথেই তৃণমূলের গুন্ডারা ভোট লুঠ করেছে। ব্যাপক হারে হিংসা-অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
একাধিক পৌরসভায় পুরভোট বাতিলের দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। এদিকে ভোট ঘিরে হাজারের মতো অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে। জানিয়েছে কমিশন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে গ্রেফতারি। ১০৮ পুরসভা ভোটে আজ বাংলায় ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে, জানিয়েছে কমিশন। দিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ১১ হাজারের বেশি বুথে ভোট হচ্ছে। অথচ ঝামেলার অভিযোগ আসছে ১.২ শতাংশ জায়গা থেকে। যা আমল দিতে নারাজ তারা। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যেটা হওয়ার কথা ছিল সেটাই হচ্ছে। আমাদের দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক মহিলা প্রার্থীকে বুথের ভিতর ঢুকে মারধর করা হয়েছে। একই মানুষ ঘুরে ঘুরে সব জায়গায় ভোট দিচ্ছেন। এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।” এদিকে ভোটে হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে তলব করলেন খোদ রাজ্যপাল। আগামিকাল সকাল ১০টায় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।