শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে মশারি বিলি করা হল মেদিনীপুর পৌরসভার তরফে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ( West Midnapore district) এই মুহূর্তে ডেঙ্গুতে (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে (hospitalised) ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। আর এই ডেঙ্গু দমনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। বিভিন্ন পৌর এলাকায় মশা নিরোধক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু দমনে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশু দিবস (Children's Day) উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Midnapore Medical College and Hospital) শিশু ওয়ার্ডে মশারি বিলি করা হল মেদিনীপুর পৌরসভার (Medinipur Municipality) তরফে।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান-ওয়ার্ডে ঘুরে ২০০-র বেশি শিশুর পরিবারের হাতে এই মশারি (mosquito net) তুলে দেন। এ প্রসঙ্গে সৌমেন খান বলেন, "ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, ছোট্ট শিশুরা যাতে করোনা ছাড়াও অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগজীবাণু থেকে যাতে নিরাপদ থাকে তার জন্যই শিশু দিবসে এই মশারি বিলি করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এমনিতেই মশা নিধনে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর এবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের পরিবারের হাতে মশারি তুলে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন- 'শৌচকর্মের জন্য বস্তির বাসিন্দারাই ম্যানহোল খুলে রাখেন', দাবি ফিরহাদের
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় জেলাজুড়ে এই পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, "জেলার খড়গপুর ও ডেবরা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবথেকে বেশি। সেখানে তৎপর রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেব।"
আরও পড়ুন- সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ভাড়ায় অটো নিয়েছিলেন, একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে অসহায় পরিবার
এখনও পর্যন্ত রাজ্য থেকে বিদায় নেয়নি করোনা। তার উপর আবার বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গোটা জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্য রাজ্যেও ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা। হরিয়ানা, কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই রাজ্যগুলি ছাড়াও ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর মিলেছে দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে(two Union territories০। ফলে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই রাজ্যগুলিতে (nine states) বিশেষ টিম (high level teams) পাঠিয়েছে। কীভাবে এই ডেঙ্গুর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তার পদক্ষেপ করতেই টিম পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন- ম্যানহোল যেন মরণফাঁদ, চোরাই মার্কেটে কেন চাহিদা বাড়ছে ম্যানহোলের ঢাকনার
ডেঙ্গুর উপসর্গগুলি হল অতিরিক্ত জ্বর (১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) হওয়া। এছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ যেমন খুব মাথাব্যথা, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখের পিছনে ব্যথা এবং গ্রন্থি ফুলে যায়। যদি এই বিষয় গুলিতে গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তবে অসুস্থতা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। জটিল পর্যায়ে তীব্র পেটে ব্যথা, অবিরাম বমি, মাড়ি থেকে রক্তপাত, দ্রুত শ্বাস, ক্লান্তি এবং রক্ত বমি পর্যন্ত হতে পারে।