জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনে পারিবারিক বিবাদ না আরএসএস যোগ, ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য

 

  • জিয়াগঞ্জে শিক্ষক ও তাঁর পরিবার খুনে রহস্য ঘনীভূত
  • মৃত শিক্ষক আরএসএস কর্মী দাবি বন্ধুর
  •  রাজনৈতিক যোগ উড়িয়ে দিল পুলিশ
  • উঠে আসছে  সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ

debojyoti AN | Published : Oct 10, 2019 10:39 AM IST

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে শিক্ষক ও তাঁর পরিবার খুনে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। ঘটনার পর ২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

দশমীর দিন দুপুরে জিয়াগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পেশায়া স্কুল শিক্ষক প্রকাশ পাল, তাঁর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী বিউটি পাল এবং ৬ বছরের ছেলের নিথর দেহ। একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেগেছে রাজনীতির রঙও।  খুন হওয়া শিক্ষক প্রকাশ পাল তাদের  কর্মী ছিলেন বলে দাবি করছে আরএসএস। এই ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তবে খুনের ঘটনায় রাজনীতির যোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। 

নারকীয় খুনের কিনারায় কোমর বেঁধে নেমেছে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ। ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। জানা গেছে মৃত শিক্ষক প্রকাশ পাল শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি সাগরদিঘি এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে তিনি আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন। তার জেরেই এই খুন কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে। চেনা পরিচিত কোনও ব্যক্তিই এই বীভৎস ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, মৃতরা কেউ খুনের সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। সম্ভবত  তাদের খাবারে মাদক বা নেশার জিনিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশ পালের স্ত্রী বিউটি পালের একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেখান থেকেই স্বামীর সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা বিউটির সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইজ্ঞিত মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এক তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এদিকে প্রকাশ পালের মা আবার সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের দিকে ইজ্ঞিত করেছেন। প্রকাশের বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানেরা সম্পত্তির জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার। 

প্রকাশ বাবুর আদি বাড়ি সাগরদিঘি এলাকায় হলেও বছর আড়াই আগে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার কানাইগঞ্জের লেবুবাগানে বাড়ি করে থাকতে আসেন। এলাকায় মিশুকে হিসাবেই পরিচিত ছিলেন প্রকাশ। গোঁসাইগ্রাম সাহাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি। কী এমন ঘটল যার জন্য প্রকাশ ও তাঁর পরিবারকে খুন হতে হল সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জিয়াগঞ্জ ও সাগরদিঘি জুড়ে।

Share this article
click me!