কেষ্টপুরে হানাপাড়ায় পুলিশকর্মীর বাড়িতেই রহস্যজনক বিস্ফোরণ। ঘটনা গুরুতর জখম পুলিশকর্মীর স্ত্রী। যদিও, কী থেকে বিস্ফোরণ তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। কারণ প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মনে করা হলেও পরে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। কারণ বিস্ফোরণের পরেও অক্ষতই ছিল রান্নাঘর।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর দেবাশিস রায়ের ফ্ল্যাটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় ফ্ল্যাটে দেবাশিসবাবু ছাড়াও তাঁর স্ত্রী সাথী রায় ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে দেবাশিসবাবুদের ফ্ল্যাট। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, বিস্ফোরণের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়ে গোটা ফ্ল্যাট। ভেঙে পড়েছে জানলার কাচ। এমনকী, বিস্ফোরণের অভিঘাতে দোতলার একটি ফ্ল্যাটেরও কাচ ভেঙে পড়ে।
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন দেবাশিসবাবুর স্ত্রী সাথীদেবী। তিনি বাগুইআটি থানায় কর্মরত রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাথীদেবীকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের নব্বই শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার সময় সাথীদেবী রান্নাঘরেই ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, বিস্ফোরণের জেরে ফ্ল্যাটের ভিতরে তিনটি ঘর তছনছ হয় গেলেও রান্নাঘরে সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি। ফ্ল্যাটের মধ্যে বিস্ফোরক বা দাহ্য কোনও পদার্থও পায়নি পুলিশ।
তবে আহত সাথীদেবী নাকি পুলিশকে জানিয়েছেন, রান্নার গ্যাস জ্বালাতেই গিয়েই আগুন ধরে যায়। গত দু' দনি ধরে গ্যাস ওভেনটিও ঠিকমতো কাজ করছিল না বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। ফরেন্সিক তদন্তের পরেই বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।