মহিলা আইনজীবী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ফরেনসিক দলের কাছে একাধিক দুষ্কৃতীর নমুনা

  • জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য
  •  ফরেনসিক দলের পরীক্ষায় মিলল একাধিক দুষ্কৃতীর তথ্য
  •  তবে পায়ের কোনও কোনও ছাপ পায়নি নমুনা সংগ্রহকারীরা
  • কী করে খুন মহিলা আইনজীবীকে ধন্দে পুলিশ

Asianet News Bangla | Published : Oct 30, 2019 12:56 PM IST / Updated: Oct 30 2019, 08:17 PM IST

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য। ফরেনসিক দলের পরীক্ষায় মিলল একাধিক দুষ্কৃতীর তথ্য। তবে পায়ের কোনও ছাপ পায়নি নমুনা সংগ্রহকারীরা। 

বাড়ির উঠোনেই পাওয়া গিয়েছিল বর্ধামানের মহিলা আইনজীবীর হাত, পা বাঁধা দেহ। কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তা জানতে শুরু হয় তদন্ত। বুধবার ঘটনাস্থলে যান কলকাতার  ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির এক প্রতিনিধি। চিত্রাক্ষ সরকার নামে ওই বিশেষজ্ঞ জামালপুর পুলিশের সহযোগিতায় নিহতের বাড়িতে পৌঁছন। পরে বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ ওই বাড়িতে ছিলেন বিশেষজ্ঞ। পরে ফরেনসিক এক্সপার্ট জানান, আততায়ীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল। কোনও পায়ের ছাপ পাওয়া না গেলেও দেওয়ালে শ্যাওলার ওপর ঘষা দাগ পাওয়া গেছে। মিলেছে রক্তের নমুনা। পাশাপাশি আরও সন্দেহজনক বিষয় উঠে এসেছে নমুনা সংগ্রহ থেকে। তবে এই প্রথমবার নয, এর আগেও  ফরেনসিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ দুই প্রতিনিধি এসেছিলেন ওই বাড়িতে। 

এদিকে ঘটনার পর মৃতের দাদা জানিয়েছেন, বোনের বাড়িতে ঘটনার পর থেকে থাকাটা তিনি নিরাপদ বোধ করছেন না। পুলিশকে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে মহিলা আইনজীবী মিতালী দেবী একাই থাকতেন। রবিবার সকালে আইনজীবীর দেহ দেখতে পান তাঁর পরিচারিকা।  মৃত মহিলা আইনজীবীর নাম মিতালী ঘোষ( ৫৯) । তিনি বর্ধমান আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  পরিচারিকা জানিয়েছে, রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতে কাজে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোনও  সাড়া পাননি। পাশের বাড়ি থেকে মই এনে চালে উঠে দেখেন, ওই মহিলা উঠোনের মধ্যে পড়ে আছেন। এরপরই তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। 

প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, ওই আইনজীবীর দেহ উঠোনের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর দোতলার বাড়ির একতলা পুরো লণ্ডভণ্ড। সেখান থেকে তালা চাবি ভেঙে জিনিসপত্র গয়নাগাটি সরানো হয়ে থাকতে পারে।  পরিবারের অভিযোগ, অনেক জিনিসপত্র গয়নাগাটি খোওয়া গেছে। অনুমান করা হচ্ছে, কোনও মামলার নথি চুরি হয়ে থাকতে পারে।  গোটা  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।  প্রাথমিকভাবে এটিকে খুনের ঘটনা মনে  হলেও এর পিছনে অন্য কারণও থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।  সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  এটি ডাকাতির উদ্দেশ্যে খুন না এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে মিতালী ঘোষ খুনের ঘটনায় তদন্তের দাবিতে আাগমীকাল রাজ্য বার কাউন্সিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করবেন। পুজোর ছুটির পর আজ সবেমাত্র কোর্ট খুলেছিল। কিন্তু আগামীকাল ফের বন্ধ থাকবে কোর্টগুলি।

Share this article
click me!