ধুলো জমা রেডিও থেকেও আওয়াজ বেরনো চাই, মহালয়ার আগের দিন ভিড় দোকানে

  • মহালয়ার আগের দিন রেডিও সারানোর ভিড়
  • বহরমপুরের বিভিন্ন দোকানে পুরনো রেডিও সারালেন অনেকেই
  • শনিবার ভোরে রেডিও-তে মহালয়া শোনার প্রস্তুতি, খুশি রেডিও মেকানিকরাও
     

debamoy ghosh | Published : Sep 27, 2019 7:20 PM IST

পরাগ মজুমদার,মুর্শিদাবাদ: মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের জোড়া হামলায় তার কদর এখন অনেক কমেছে। কিন্তু বছরের এই একটি দিন যেন তাকে ছাড়া চলে না বাঙালির। তাই বাড়ির আর পাঁচটা অকেজো জিনিসের সঙ্গে এককোণায় পড়ে থাকা রেডিও-র ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে অনেকেই হাজির হয়েছিলেন পাড়ার টিভি, রেডিও সারাইয়ের দোকানে। যাই হোক না কেন, শনিবার যে মহালয়া। ভোররাতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে সংস্কৃত স্তোত্রপাঠ ও  দেবীর আগমনী বার্তা না শুনলে যেন মনেই হয় না দুর্গাপুজো আসছে। 

মহালয়ার আগের দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বেশির ভাগ রেডিও সারাইয়ের দোকানেই শুক্রবার সকাল থেকে এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। বিশেষত পুরনো রেডিও হাতে নিয়ে দোকানে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে একটু বয়স্ক নাগরিকদের। 

শুধু সদর শহর বহরমপুর কেন, জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, মহালয়ার আগের দিন সর্বত্র এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ তো দোকানের ভিড় এড়াতে রেডিও মেকানিককে বেশি টাকার টোপ দিয়ে বাড়িতেও নিয়ে যেতে চাইলেন। রেডিও সারাইয়ের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও শুক্রবার তাই বেজায় খুশি। 

পরাগ মজুমদার,মুর্শিদাবাদ: মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের জোড়া হামলায় তার কদর এখন অনেক কমেছে। কিন্তু বছরের এই একটি দিন যেন তাকে ছাড়া চলে না বাঙালির। তাই বাড়ির আর পাঁচটা অকেজো জিনিসের সঙ্গে এককোণায় পড়ে থাকা রেডিও-র ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে অনেকেই হাজির হয়েছিলেন পাড়ার টিভি, রেডিও সারাইয়ের দোকানে। যাই হোক না কেন, শনিবার যে মহালয়া। ভোররাতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে সংস্কৃত স্তোত্রপাঠ ও  দেবীর আগমনী বার্তা না শুনলে যেন মনেই হয় না দুর্গাপুজো আসছে। 

মহালয়ার আগের দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বেশির ভাগ রেডিও সারাইয়ের দোকানেই শুক্রবার সকাল থেকে এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। বিশেষত পুরনো রেডিও হাতে নিয়ে দোকানে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে একটু বয়স্ক নাগরিকদের। 
শুধু সদর শহর বহরমপুর কেন, জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, মহালয়ার আগের দিন সর্বত্র এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ তো দোকানের ভিড় এড়াতে রেডিও মেকানিককে বেশি টাকার টোপ দিয়ে বাড়িতেও নিয়ে যেতে চাইলেন। রেডিও সারাইয়ের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও শুক্রবার তাই বেজায় খুশি। 

নতুন যুগের ছোট সাইজের রেডিও যেমন আসছে সারাইয়ের জন্য, তেমনই বহু পুরনো দিনের রেডিওর মডেল সারাই করার আব্দার নিয়েও হাজির হচ্ছেন অনেকে। তার মধ্যে কিছু রেডিওর বয়স প্রায় ৬০-৭০বছরেরও উপরে। যেমন বহরমপুরের খাগড়া এলাকার প্রৌঢ় চন্দন রায় বলেন,'বহু যুগের এই বাপ-ঠাকুরদার আমলের রেডিও চালানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু শোনাই যায় না। তাই বাধ্য হয়েই ঘড়িতে চারটে বাজার আগে অ্যালার্ম দিয়ে তার পরে রেডিও চালিয়ে রাখতে হয়। খানিকক্ষণ গোঁ গোঁ শব্দের পরেই ধীরে ধাীরে শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। তাই সারা বছর রেডিওর খোঁজ না নিলেও  মহালয়ার আগের দিন এটিকে সারাই না করে থাকতে পারিনা। তাই যত দেরিই হোক না কেন, রেডিও সারিয়েই বাড়ি ফিরব।' প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও  রেডিও মেকানিক পিন্টু দাস,আলম শেখরা বলেন,'আজ আমাদের খাওয়া দাওয়া বলে কিছু নেই। সারা বছরের মধ্যে এই মহালয়ার আগের দিনই রেডিও সারানোর চাপ থাকে। তাই আমাদেরও বেশ ভালই লাগে।'

পরাগ মজুমদার,মুর্শিদাবাদ: মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের জোড়া হামলায় তার কদর এখন অনেক কমেছে। কিন্তু বছরের এই একটি দিন যেন তাকে ছাড়া চলে না বাঙালির। তাই বাড়ির আর পাঁচটা অকেজো জিনিসের সঙ্গে এককোণায় পড়ে থাকা রেডিও-র ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে অনেকেই হাজির হয়েছিলেন পাড়ার টিভি, রেডিও সারাইয়ের দোকানে। যাই হোক না কেন, শনিবার যে মহালয়া। ভোররাতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে সংস্কৃত স্তোত্রপাঠ ও  দেবীর আগমনী বার্তা না শুনলে যেন মনেই হয় না দুর্গাপুজো আসছে। 

মহালয়ার আগের দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বেশির ভাগ রেডিও সারাইয়ের দোকানেই শুক্রবার সকাল থেকে এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। বিশেষত পুরনো রেডিও হাতে নিয়ে দোকানে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে একটু বয়স্ক নাগরিকদের। 
শুধু সদর শহর বহরমপুর কেন, জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, মহালয়ার আগের দিন সর্বত্র এই ছবিটাই দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ তো দোকানের ভিড় এড়াতে রেডিও মেকানিককে বেশি টাকার টোপ দিয়ে বাড়িতেও নিয়ে যেতে চাইলেন। রেডিও সারাইয়ের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও শুক্রবার তাই বেজায় খুশি। 

নতুন যুগের ছোট সাইজের রেডিও যেমন আসছে সারাইয়ের জন্য, তেমনই বহু পুরনো দিনের রেডিওর মডেল সারাই করার আব্দার নিয়েও হাজির হয়েছিলেন অনেকে। তার মধ্যে কিছু রেডিওর বয়স প্রায় ৬০-৭০বছরেরও উপরে। যেমন বহরমপুরের খাগড়া এলাকার প্রৌঢ় চন্দন রায় বলেন,'বহু যুগের এই বাপ-ঠাকুরদার আমলের রেডিও চালানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু শোনাই যায় না। তাই বাধ্য হয়েই ঘড়িতে চারটে বাজার আগে অ্যালার্ম দিয়ে তার পরে রেডিও চালিয়ে রাখতে হয়। খানিকক্ষণ গোঁ গোঁ শব্দের পরেই ধীরে ধাীরে শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। তাই সারা বছর রেডিওর খোঁজ না নিলেও  মহালয়ার আগের দিন এটিকে সারাই না করে থাকতে পারিনা। তাই যত দেরিই হোক না কেন, রেডিও সারিয়েই বাড়ি ফিরব।' প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও  রেডিও মেকানিক পিন্টু দাস,আলম শেখরা বলেন,'আজ আমাদের খাওয়া দাওয়া বলে কিছু নেই। সারা বছরের মধ্যে এই মহালয়ার আগের দিনই রেডিও সারানোর চাপ থাকে। তাই আমাদেরও বেশ ভালই লাগে।'

তার মধ্যে কিছু রেডিওর বয়স প্রায় ৬০-৭০বছরেরও উপরে। যেমন বহরমপুরের খাগড়া এলাকার প্রৌঢ় চন্দন রায় বলেন,'বহু যুগের এই বাপ-ঠাকুরদার আমলের রেডিও চালানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু শোনাই যায় না। তাই বাধ্য হয়েই ঘড়িতে চারটে বাজার আগে অ্যালার্ম দিয়ে তার পরে রেডিও চালিয়ে রাখতে হয়। খানিকক্ষণ গোঁ গোঁ শব্দের পরেই ধীরে ধাীরে শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। তাই সারা বছর রেডিওর খোঁজ না নিলেও  মহালয়ার আগের দিন এটিকে সারাই না করে থাকতে পারিনা। তাই যত দেরিই হোক না কেন, রেডিও সারিয়েই বাড়ি ফিরব।' প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও  রেডিও মেকানিক পিন্টু দাস,আলম শেখরা বলেন,'আজ আমাদের খাওয়া দাওয়া বলে কিছু নেই। সারা বছরের মধ্যে এই মহালয়ার আগের দিনই রেডিও সারানোর চাপ থাকে। তাই আমাদেরও বেশ ভালই লাগে।'

Share this article
click me!