প্রায় মাস খানেক ধরে পুলিশের সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেলছিলেন তিনি। অবশেষে ধরা পড়লেন পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতা কুববান শা খুনে মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান। সোমবার ভোরে মেচেদা স্টেশন থেকে আনিসুর-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নবমীর রাতে পাঁশকুড়ার মাইশোর বাজারে দলের কার্যালয়ে খুন হয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতিও ছিলেন। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে বাইকে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা কুরবান শা-কে খুনের অভিযোগ করেছিলেন শাসকদলের স্থানীয় নেতারা। আর বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ২১ জনের নামে এফআইআর হয় পাঁশকুড়া থানায়। ঘটনায় কয়েকদিনের মধ্যেই আব্দুল খালেক নামে একজন গ্রেফতার করে পুলিশ। আব্দুল তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা, তবে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্টতা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কালীপুজোর আগে একে একে ধরা পড়ে আরও পাঁচজন। এমনকী, কুরবান শা খুনের ঘটনায় তাসলিম শেখ ওরফে রাজা নামে এক সুপারি কিলারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ঘটনার দিন পার্টি অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতা কুরবান শা-কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তাসলিমই। কিন্তু মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান পুলিশের নাগালে বাইরেই ছিলেন। শেষপর্যন্ত ধরা পড়লেন তিনি।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই আনিসুর রহমানের উপর নজর রাখছিলেন পাঁশকুড়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সোমবার ভোরে মেচেদা স্টেশন থেকে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। আনিসুরের সঙ্গে ছিলেন আর এক অভিযুক্ত মোবারক করিম। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকেও। এদিকে তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ খুনের মূল অভিযুক্ত-সহ দু'জন গ্রেফতার হওয়ার খুশি তাঁর পরিবারের লোকেরা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।