অবশেষে নিমতা হত্যাকাণ্ডে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত। বজবজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে মৃতের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স সিং-কে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। প্রিন্স সিংহের ঘনিষ্ট বিশাল মারু নামে এক যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নবমীর রাতে বিরাটির সর্দারপাড়ায় এক বান্ধবীকে বাড়িতে ছাড়তে গিয়ে খুন হন দেবাঞ্জন দাস নামে এক যুবক। বিরাটি ব্রিজে নিজের গাড়ি থেকেই বছর কুড়ির ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও প্রথমে এই ঘটনাকে নেহাতই দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য মানতে চাননি দেবাঞ্জন দাসের পরিবারের লোকেরা। বরং ঘটনার দিন গাড়িটি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। এমনকী, গাড়ির বাঁদিকে সিটের নিচে বুলেটের দাগ ছিল বলে দাবি করেছিলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। দেবাঞ্জনের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় নিমতা থানায়। এরপরই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। মোবাইলের সূত্র ধরে ত্রিকোণ প্রেমের ইঙ্গিত পায় পুলিশ। তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়,যে দেবাঞ্জনের বান্ধবীর একইসঙ্গে দু'জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে বান্ধবীর সঙ্গে দেবাঞ্জন দাস নবমীর রাতে নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন, শুক্রবার তাঁকে নিমতা থানায় দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। এমনকী, ওই তরুণীর প্রাক্তন প্রেমিক তথা মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিংয়ের ঘনিষ্ট বিশাল মারু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে মৃতের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, প্রিন্সই যে দেবাঞ্জনকে খুন করেছে, তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে কার্যত নিশ্চিত পুলিশ। তদন্তকারীদে আশঙ্কা ছিল, গ্রেফতারি এড়াতে বিহারে আত্মীয়দের বাড়িতে পালিয়েও যেতে পারে প্রিন্স। প্রয়োজনে তার খোঁজে ভিনরাজ্যে যাওয়ারও পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তার আর দরকার পড়ল না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরা পড়ল নিমতা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিং।