কলকাতা থেকে দূরত্ব মেরেকেটে পঁচিশ কিলোমিটার। হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরের বাসিন্দাদের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে কলকাতার ঠিক এতটাই কাছে চলে এসেছে বাঘ অথবা চিতাবাঘ। কোন্নগরের কানাইপুর অঞ্চলের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আপাতত বাঘের আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, যে প্রাণীটিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যে প্রাণীটিকে বাঘ বলে ভুল করা হচ্ছে, সেটি আসলে বাঘরোল!
বিশেষজ্ঞদের দাবি অবশ্য মানতে নারাজ কানাইপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা নিশ্চিত, এলাকায় বাঘ ঢুকেছে। কোন্ননগরের কানাইপুরে তিন চার দিন ধরে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছিল বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর মধ্যেই রবিবার রাতে স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভি-তে একটি অজানা প্রাণীকে এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সেই প্রাণীটির সঙ্গে বাঘের হাঁটাচলার মিল থাকায় সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় বাঘ ঢুকেছে বলে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাঘের খোঁজে রীতিমতো লাঠি হাতে এলাকার ঝোঁপঝাড়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় চাষের জমিতেও দেখা গিয়েছে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। এলাকায় উদ্ধার হয়েছে একটি মৃত গরু। তাতে মানুষের আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
কিন্তু কোন্ননগরে কোথা থেকে আসবে বাঘ? সেই প্রশ্নেরও জবাব তৈরি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। তাঁদের দাবি, যে এলাকায় ওই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে তার খুব কাছে দিল্লি রোড। ওই রাস্তা দিয়েই কোনও গাড়িতে করে পাচারের সময় কোনওভাবে পালিয়ে এলাকায় বাঘ ঢুকে পড়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের।
রাজ্যের বন্যপ্রাণ পর্ষদের সদস্য জয়দীপ কুণ্ডু অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত, যে প্রাণীটির ছবি সিসিটিভি-তে ধরা পড়েছে সেটির হাঁটাচলা বাঘের মতো হলেও আসলে তা বাঘরোল। প্রাণীটির যাতে কোনও ক্ষতি না করা হয়, এলাকার বাসিন্দাদের কাছে সেই আবেদন করেছেন তিনি। যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, বন দফতরের পক্ষ থেকে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন দফতরের প্রতিনিধিরাও এলাকায় গিয়েছেন।