এনআরসি-র নথি সংশোধন করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। গুরুতর জখম মৃতার স্বামী ও দুই ছেলে। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। ঘাতক লরি ও তার চালককে আটক করেছে পুলিশ।
ভিটেমাটি ছাড়তে হবে না তো? এনআরসি-র আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্রই। যে যেমনভাবে পারছেন প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন, আধার কিংবা ভোটার কার্ডে ভুল থাকলে সংশোধনের জন্য ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু নথি সংশোধন করতে গিয়ে যে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, তা কে জানত!
মুর্শিদাবাদের লালাগোলার আইমারি এলাকায় থাকেন পিয়ারুল ইসলাম। পেশায় তিনি কৃষিজীবী। পিয়ারুল, তাঁর স্ত্রী নূরজাহান ও দুই ছেলের আধার কার্ড সংক্রান্ত নথি সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নথি সংশোধনের জন্য স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে টোটোয় চেপে লালগোলা পোস্ট অফিসে যাচ্ছিলেন পিয়ারুল। দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় বসুপাড়া মোড় এলাকায়, লালগোলা-জঙ্গিপুর জাতীয় সড়কে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে টোটোটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান নূরজাহান। টোটো থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তাঁর স্বামী, দুই ছেলে ও টোটোর চালক। ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কোনওমতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্পর্কে চিড়, বাড়িতে ঢুকে টিএমসিপি নেত্রীর গলায় ছুরি চালাল প্রেমিক
এদিকে এই ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় নূরজাহানের স্বামী পিয়ারুল, তাঁর দুই ছেলে ও টোটোর চালককে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ওই দম্পতির বড়ছেলের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি, বরং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির হওয়ার পর রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাঁকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা কলকাতার চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া।