করুণাময়ী, ডমজুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আনন্দোলন চালানো হয়। তবে এই আন্দোলনের পথেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য পুলিশ। তার জেরেই এবার হুঁশিয়ারি আইন অমান্যের।
লকডাউনে একে একে খুলছে সব সেক্টরের দরজা। তবে বন্ধই থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি (Close Education Sector) । এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে বচসা। রাজ্যের শিক্ষা (West Bengal Govt) ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, কোথায় যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ, অবিলম্বে খুলে দেওয়া হোক স্কুল কলেজ (Re-open School College)। এই মর্মেই সোমবার আন্দোলনে নেমেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন (SFI Student Union) । স্লোগান পোস্টারে ছিল কেবলই প্রতিবাদের আগুন, বিভিন্ন জায়গায় অনলাইন ক্লাস সঠিকভাবে হচ্ছে না। হলেও অনেকেই তা করতে পারছে না প্রযুক্তির জন্য। এই পরিস্থিতির দিকে কবে নজর দেবে রাজ্য সরকার, আর কত সময় নষ্ট হবে! এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে করুণাময়ী, ডমজুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আনন্দোলন চালানো হয়। তবে এই আন্দোলনের পথেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য পুলিশ। তার জেরেই এবার হুঁশিয়ারি আইন অমান্যের।
৩১ জানুয়ারি শহর জুড়ে আইন অমান্যের ডাক বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের (SFI Student Union)। সোমবারই প্রকাশ্যে সেই কথাই জানালেন এস এফ আইয়ের রাজ্যের সেক্রেটারি সৃজন ভট্টাচার্য্য। তাঁর কথায় এদিন করুণাময়ী, ডমজুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে ভাবে ছাত্র আন্দোলনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তার প্রতিবাদেই আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যের স্কুল কলেজের গেটের বাইরে ক্লাস রুম তৈরি করা হবে এবং ৩১ জানুয়ারি সারা রাজ্য জুড়ে আইন অমান্যের পথে হাঁটবে বলেই হুশিয়ারি দিলেন সৃজন ভট্টাচার্য্য।
এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মূর্গা ব্যয়ঠা রাহা আন্ডা নেহি দিয়া" বলে শিক্ষা মন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন সৃজন ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গে গ্রামাঞ্চলে ৮৭ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী অনলাইনে ক্লাস করতে পারে না সেখানে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী সরকারি পদে থেকে অনলাইন অ্যাপের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। বিকল্প ক্লাস রুম বামপন্থী ছাত্র সংগঠন অনেক দিন আগেই শুরু করেছে। এই বিকল্প ক্লাস রুমের বদলে স্কুল কলেজ খোলার দিকে নজর দেওয়া উচিত বলেই দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান যদি পানশালা খোলা থাকতে পারে মোচ্ছপ চলতে পারে তাহলে স্কুল কলেজ কেনো খোলা হবে না। বামফ্রন্ট সরকার পাড়াকে স্কুলে নিয়ে যেত আর এই সরকার স্কুলকে পাড়ায় নিয়ে আসছে বলে দাবি করেন তিনি।