ভোট পরবর্তীতে আরোও শক্তিশালী মালদহের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত। এর আগে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করেই বোর্ড গঠন করেছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই শাসকদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণিত হয়। এর পর পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলো ছয়টি সংসদের সদস্য।
সোমবার চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কমিটির দলীয় কার্যালয়ে যোগদান পর্বের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী ও চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। এদিন ছিলেন তৃণমুল নেতা অমিতেষ পান্ডে, মোকতার হোসেন সহ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ জন কংগ্রেস সদস্য সহ কংগ্রেসের উপপ্রধান উৎপল তালকুদার পঞ্চায়েত প্রধানের সামনে চাঁচলের নব নির্বাচিত তৃণমূলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন। এমনটাই জানানো হয়েছে ব্লক নেতৃত তরফে।
উল্লেখ্য,চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতটিতে তৃণমূলের ছয়জন ও কংগ্রেসের সাতজন সদস্য জোট করে বোর্ড গঠন করেছিল। তবে উপপ্রধান ছিলেন কংগ্রেসের ও প্রধান আজমেরী খাতুন ছিলেন তৃণমূলের সদস্য। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বমোট ২৩টি সংসদের মধ্যে মধ্যে ১৭ টি তৃণমূলের দখলে এসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করল।
পঞ্চায়েতে বিরোধী হিসেবে সিপিএম-৩, বিজেপি-২ ও কংগ্রেস ১ টি রয়ে গেল। তারাও তৃণমূলে যোগদান করবে বলে জানালেন যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তবে চাঁচল বিধানসভা তৃণমূলের দখলে আসতেই কি এই যোগদানের হিড়িক?
উত্তরে যোগদানকারী রানীকামাত সংসদের জুমারত আলী জানালেন, তৃণমূল সুপ্রিমোর উন্নয়নে আপ্লুত হয়ে যোগদান করলাম। ভোটের আগেও যোগদান করার কথা ছিল। তবে নির্বাচনী ব্যস্ততার কারনে তাও সম্ভব হয়নি বলে দলের তরফে দাবী করা হয়েছে।
একসাথে ছয়জন কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দিতেই খুশি বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন,চাঁচলে শীঘ্রই পৌরসভা হবে। তাই তারাও সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে চাঁচল-১ নং ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে। কিন্তু দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেস চালাচ্ছে। নিহার বলেন,এখন তো খেলা শুরু হয়েছে। বিরোধী শূন্য হবে চাঁচল।