বসিরহাট মহকুমার তিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবার হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। অবশ্য় তিন জনেই বিভিন্ন কারণে অসুস্থ। আর তার জেরেই বসিরহাট মহাকুমার তিন পরীক্ষার্থী জীবনের প্রথম সরকারি পরীক্ষা হাসপাতালে দিতে গিয়ে নজির গড়ল।
আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাসের থাবা তেহট্টে, গুজবে ছড়াল আতঙ্ক
সূত্রের খবর, বসিরহাট মহকুমার তিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রী রিম্পা মন্ডল ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ হয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে জমা করার পর হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে রিম্পা।আর একজন ছাত্র ভবতোষ দোলুই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই দুই পরীক্ষার্থীর বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জ থানার হাটগাছা হাই স্কুল। রিম্পা এবং ভবতোষের বাড়ি কুমিরমারি বাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্র পূর্ব খেজুরবাড়িয়া । রিম্পা পরীক্ষা কেন্দ্র হাটগাচা হাইস্কুলে। ভবতোষের পরীক্ষা কেন্দ্র পূর্ব খেজুরবাড়িয়া হাইস্কুল। বসিরহাট মাটিয়া থানার আন্দোলপোতা এলাকায় বাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে মালতিপুর হাইস্কুলে। অপরদিকে উম্মে হাবিবা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে গতকাল শুক্রবার রাত্রিবেলা। দুই ছাত্রী এক ছাত্র পরীক্ষা দেয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ সবরকম ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কাদের শেখাব', ঋষভের মৃত্যুতে চোখে জল সাংসদেরও
বসিরহাট জেলা হাসপাতালের আজকেই প্রথম তিন পরীক্ষার্থী হাসপাতালের বেডে বসে প্রথম ইতিহাস পরীক্ষা দিল। পরীক্ষা একদিকে যেমন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সব রকম ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা যাতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে তাদের জন্য আলাদা আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে। একদিকে যেমন স্কুলের শিক্ষক থাকবে অন্যদিকে পর্ষদের পর্যবেক্ষকরা থাকবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। যাতে কোন এই তিন পরীক্ষার্থীর কোন অসুবিধা না হয়। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা করা খুশি ছাত্রীর পরিবার । রিম্পার মা প্রভা মন্ডল উম্মে হাবিবার মা ফাতেমা বিবি সহ ভবতোষ এর বাবা নিধুরাম দলুই বলেন ।একদিকে বসিরহাট জেলার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছে । অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পরিষদ ব্যবস্থা করায় রীতিমত প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন, ৮ দিনের লড়াই থেমে গেল চিরতরে, ফের পুলকারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গেল ঋষভের মৃত্যু