দিল্লি ও রাজ্যের সরকার এবিসিডি ভুলিয়ে দিচ্ছে। এখন এন আর সি, সি এ বি শেখাচ্ছে। ভয় পাবেন না এখনো নোটিশ হয়নি। এনআরসি করতে হলে সিএবি করতে হবে। রবিবার মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে হুগলিতে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম-এর রাজ্য় সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
এদিন সূর্যবাবু বলেন, অসমে এনারসির পর কী হয়েছে সারা দেশ দেখেছে। কোনও কিছুকেই ভয় পাবেন না। যাদের স্মার্ট ফোন আছে তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে যার স্মাট ফোন নেই তার বাড়িতে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানো। লাল ঝান্ডা মানে তাই,কমিউনিস্ট পার্টি মানে তাই। যে মানুষের কিছু ডালভাত শাকভাত খাওয়ার সামর্থ নেই। জমি নেই সে দলিল খুঁজবে। স্মাট ফোন তো দূর এমনি ফোন কেনার ক্ষমতা নেই সে কী বুঝবে এনআরসির। আমি কবে জন্মেছিলাম আমার জেনে কী লাভ আছে।
মোদী সরকারের পাশে এদিন মুখ্য়মন্ত্রীকেও বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন সূর্যবাবু। রাজীব কুমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কীসের ভয় ? যদি সন্ত্রস্ত কেউ আছেন তো তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দৌড়াচ্ছেন দিল্লিতে। আর রাজীব কুমার কোন হরিদাস পাল ? তার নাম নিয়ে কী হবে। তার মালকিনের কথা বলছি।মালকিনের চৌকিদার ফেরার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। ফেরার হুলিয়া নোটিশ জারি করা উচিত। চোরের পিছনে পুলিশ তারা করে। এখানে পুলিশকে তাড়া করছে সিবিআই। আর মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি দৌড়চ্ছেন ।
বরাবরই জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেস ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও অবস্থান না নিলেও রাস্তায় নেমেছেন বামেরা। এদিন কাশ্মীর প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, এক কলমের খোঁচায় কাশ্মীর নিয়ে নিলেন। যারা বাংলায় বাস করেন তারা জানেন পাহাড়ে আবার দাবি উঠেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাই। উত্তরবঙ্গে বিজেপি, আরএসএস মিলে বাংলাকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র করছে। কাল যদি কাশ্মীরের মতো বিল এনে দার্জিলিং জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেয় তাহলে মেনে নেবেন। হয়তো অনেকে ভাবছেন কাশ্মীরে করেছে দারুণ করেছে। আগে কাশ্মীরের ইতিহাস জানুন।