'তোলাবাজ ভাইপো হাটাও' - 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ছাড়া প্রথমদিনই গেরুয়ায় মিশে গেলেন শুভেন্দু

'তোলাবাজ ভাইপো হাটাও'

বিজেপিতে যোগ দিয়েই স্লোগান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

দারুণভাবে গেরুয়া শিবিরে মিশে গেলেন তিনি

শুধু 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানটাই দিতে পারলেন না

 

amartya lahiri | Published : Dec 19, 2020 10:22 AM IST / Updated: Dec 19 2020, 04:42 PM IST

গলার শির ফুলিয়ে মেদিনীপুর কলেজের মাঠে চিৎকার করলেন 'তোলাবাজ ভাইপো হাটাও'। যোগ দেওয়ার ঠিক পরক্ষণ থেকেই একেবারে দারুণভাবে গেরুয়া শিবিরে মিশে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র বক্তব্য শেষ করে জয় শ্রীরাম স্লোগানটা দিতে গিয়েই একটু বাধল তাঁর।

এদিন মেদিনীপুরের সমাবেশে একেবারে অমিত শাহ-এর পাশে বসেছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে প্রথমে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। তারপর স্বয়ং অমিত শাহ তাঁর হাতে তুলে দেন বিজেপির পতাকা। একেবারে বুকে জড়িয়ে নেন শুভেন্দুকে।

বলতে উঠে শুভেন্দু একেবারে তৃণমূলের পর্দাফাঁস করে দিলেন বলা চলে। তিনি বলেন, তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর করোনা হওয়ার সময় পুরোনো দলের কেউ খোঁজ নেননি, 'অমিত শাহ, তাঁর বড় দাদা' দুবার খোঁজ নিয়েছিলেন। একসময় এই বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই রাজনীতিতে টিকে ছিল তৃণমূল, সেই কথা মনে করিয়ে দেন নন্দিগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। বলেন, কেউ কেউ বলছেন, তিনি তাঁর মা-কে ছেড়ে এলেন। তাঁর দুইজনই মা আছেন, একজন তাঁর জন্মদাত্রী অন্যজন ভারত মাতা। সেই ভারতমাতার সেবা করবেন বলেই বিজেপি-তে এসেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিজেপি কর্মীদের খুন করা হতো। দলে থেকেও কিছু বলতে পারতেন না। খারাপ লাগত তাঁর। সেইসঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্র ও রাজ্যে এক দলের সরকার না হলে বাংলাকে বাঁচানো যাবে না। রাজ্যে টেট দুর্নীতি চলছে। কর্মসংস্থান নেই। তিনি মনে প্রাণে চান বাংলায় মোদীর শাসন। অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বহিরাগত বলা হচ্ছে? আমরা আগে ভারতীয়, পরে বাঙালি।  
বক্তৃতার শেষ লগ্নে এসে শুভেন্দু জানান, শুক্রবার তাঁর পুরোনো দলের এক বন্ধু তাঁকে একটি ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। তাতে তিনি, 'বিজেপি হাটাও দেশ বাঁচাও'  স্লোগান দিচ্চেন। শুভেন্দু বলেন, তিনি যখন যা করেন নিষ্ঠার সঙ্গে করেন। তখন তৃণমূলে ছিলেন, তাই ওই স্লোগান দিয়েছিলেন। বিজেপি-তে এসে বলছেন, 'তোলাবাজ ভাইপো হাটাও'। আগামী কাল থেকএই তিনি বিজেপি-র কর্মী হিসাবে কাজ করবেন। কারোর উপর খবরদারি করবেন না। দরকারে পতাকা লাগাবেন, দেওয়াল লিখবেন। পার্টির নির্দেশ মেনে চলবেন।

তবে তালটা কিছুটা কাটল একেবারে শেষে। স্লোগান দিতে গিয়ে তিনি বললেন, 'বন্দে মাতরম', 'ভারত মাতা কি জয়', তারপর 'জয়' বলে কিছুক্ষণ থেমে বলেন, 'হিন্দ'। প্রথমদিনই কি 'শ্রীরাম' বলতে দ্বিধা করলেন?

 

Share this article
click me!