ঘরের ছেলেদেরও দেখতে হবে, পুলিশকে বার্তা ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর

  • খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পুলিশমন্ত্রী ।
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় পুলিশকে একহাত নিলেন মমতা।
  • ঘরের ছেলেদেরও দেখতে হবে, পুলিশকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। 
     

Tapas Dutta | Published : Sep 25, 2019 10:38 AM IST

খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পুলিশমন্ত্রী । পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় পুলিশকে একহাত নিলেন মমতা। ঘরের ছেলেদেরও দেখতে হবে, পুলিশকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। 

২০০৬ সালে তাঁর উক্তি থেকেই রাজ্যে আমরা-ওরার সৃষ্টি। রাজ্য়ে বামেদের ওজন বোঝাতে আমরা ২৩৫-ওরা ৩০কথাটা ব্য়বহার করেছিলেন তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সময়ের বাধ পেরিয়ে রাজ্য রাজনীতির সামগ্রিক চিত্রে তাঁর সেই উক্তি এখন অমর। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বুদ্ধবাবুকে মনে করালেন মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন জেলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে তুলে আনলেন আমরা-ওরা প্রসঙ্গ। কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?   

এদিন প্রশাসনিক সভায় পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। মমতা বলেন, আমাদের ছেলেরা কিছু করলে তাঁদের গ্রেফতার করতে চলে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্য় দলের ছেলেরা জোর জুলুম করছে দেখেও পুলিশ কিছু করে না। মনে হচ্ছে, তৃণমূলটা খুব সহজ সুলভ হয়ে গেছে। আমাদের ছোঁয়া যায়, যা কিছু বলা যায়। গালাগালি দেওয়া যায়।  আর যারা গুন্ডামি মস্তানি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের ডিএম, পুলিশ কেউই দেখতে পান না। প্রশাসনের কাজে আমাদের ছেলেরা হস্তক্ষেপ  করবে না। কিন্তু মনে রাখবেন, ঘরের ছেলেদেরও দেখতে হবে। মনে রাখবেন, বাংলাটা যেন বিকিয়ে না যায়।

জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে মমতা বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ৩০৬টা অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ রয়েছে।  পুলিশি হেনস্থার অভিযোগও করা হয়েছে। যারা আইসি আছেন। পুলিশ সুপারের কথা মেনে কেসগুলো দেখবেন। সম্প্রতি অধিকারী পরিবারের প্রতাপ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুরে দাপাদাপি শুরু করেছে বিজেপি। অটো-টোটোর যাত্রী তোলাকে নিয়ে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে জেলা। আগে এই দুই যানের মাথাতে ছিল তৃণমূলের একাধিপত্য। কিন্তু সম্প্রতি এই টোটো ও অটো ইউনিয়েনে ঢুকে পড়েছে বিজেপি। প্রায়শই যাত্রী তোলা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে টোটো-অটো ইউনিয়নগুলির মধ্য়ে। যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের আইসির খোঁজ করেন মমতা। পরে তিনি বলেন, এই দাপাদাপি বন্ধ করতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে নিন।
  

Share this article
click me!