অভিযুক্ত ধরা পরলেও কাটছে না রহস্য। এবার জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। একজন আনকোরা অপারাধী কীভাবে পাঁচ মিনিটে তিনজনকে খুন করল, তা নিয়ে সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল। তদন্তে মুর্শিদাবাদ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি।
হইয়াও হইল না শেষ। জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার খুনের কিনারা করলেও প্রশ্ন উঠে গেল পুলিশের তদন্ত নিয়ে। রাজ্যপাল পদে থেকে এই সন্দেহ প্রকাশ করলেন তথাগত রায়। টুইটারে তথাগত লিখেছেন, জিয়াগঞ্জ খুন নিয়ে কি গল্প সাজাচ্ছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ ? যার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই সেই উৎপল বেহেরা মাত্র পাঁচ মনিটে নৃশংশভাবে তিনটে খুন করল। এর মাধ্য়মে কি পুলিশ কিছু লুকোতে চাইছে ?
তবে তথাগত একা নন, জিয়াগঞ্জ খুনে পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরার যোগ নিয়ে সওযাল করেছেন অনেকেই। অভিয়ুক্তের বাবা জানান,যেদিন এই খুন হয়েছিল সেই বিজয়া দশমীতে বাড়িতেই ছিল তাঁর ছেলে। এই খুনের পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে। খুনের ঘটনায় তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। পরিবারের লোক ছেলের হয়ে কথা বলবে এটাই বাস্তব। কিন্তু উৎপলই খুন করেছে মেনে নিলেও থেকে যাচ্ছে কিছু প্রশ্ন।
পুলিশ জানিয়েছে,সাড়ে দশটায় সাগরদিঘি থেকে বন্ধুপ্রকাশ পালকে ফোন করে উৎপল। দুজনের মধ্য়ে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই ১২টার মধ্যে জিয়াগঞ্জে পৌঁছে বন্ধুপ্রকাশ তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে উৎপল। প্রশ্ন জাগে, মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে সাগরদিঘি থেকে জিয়াগঞ্জে এসে কীভাবে এই কাজ করল উৎপল। তাও আবার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তিন জনকে কুপিয়ে খুন। যার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই সেরকম একজন ব্যক্তির পক্ষে এই কাজ করা প্রায় অসম্ভব। দাগী আসামী হলেও এই কাজ করতে আরও সময় লাগার কথা।
তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে , বন্ধুপ্রকাশ যে চিটফান্ডে টাকা রাখত তাতেই টাকা জমা দিয়েছিল বন্ধুপ্রকাশের বাবা। কিন্তু প্রথম বছর টাকা জমা দেওয়ার রসিদ পেলেও দ্বিতীয় বছরের রসিদ পায়নি উৎপল। সেই ২৪ হাজার টাকা ঘিরেই দুজনের মধ্য়ে ঝামেলা। উৎপলের দাবি, সেই টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছিল বন্ধুপ্রকাশ। যার জেরেই খুন হতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে।
তবে এই প্রথমবার নয় প্রথম থেকেই জিয়াগঞ্জ খুন নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে থেকেছেন তথাগত রায়। এর আগেও জিয়াগঞ্জ খুন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। সেই সময় মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলেন,১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিক্ষক পরিবার খুনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এখন চেক বিতরণ,রাস্তা সারাই, ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত। তদন্তের কিনারা করতে সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময়টুকু নেই তাদের।