মাস খানেক ধরে হাতির আতঙ্কে কাটছে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া বাগমুন্ডি ঝালদার বিস্তীর্ন অংশের মানুষের। ইতিমধ্যে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
মাস খানেক ধরে হাতির আতঙ্কে কাটছে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া বাগমুন্ডি ঝালদার বিস্তীর্ন অংশের মানুষ। ইতিমধ্যে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। দিন রাত হাতির হামলার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে জঙ্গল মহলের মানুষকে। আর আতঙ্কের মাঝে আবার হাতির দলে নতুন অতিথি আসায় খুশির হাওয়া বাগমুন্ডি মহকুমার বিস্তীর্ন অংশে।
কোটশিলা বন দপ্তরের অযোধ্যা পাহাড় কোলের মামুডি জঙ্গলে জন্ম নিয়েছে একটি হাতির বাচ্চা। বাচ্চা প্রসব করায় হাতির দলটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়। তাই ওই হাতির বাচ্চাটিকে চিহ্নিত করতে হাতির সামনাসামনি পৌঁছাতে পারছেন না বন দপ্তরের কোন কর্মী সহ মামুডি জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কোন মানুষ। এই সময় ওই এলাকায় হাতির হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অযোধ্যা পাহাড় কোলের খামার থেকে অযোধ্যা হিলটপ যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা মামুডি গ্রামের সামনে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তর এর কর্মীর পাশাপাশি এলাকায় রয়েছে কোটশিলা থানার পুলিশ।
হঠাৎ করেই মানুষ যাতে বুনোহাতির হামলার শিকার না হন বা বিপদে না পড়েন তার জন্যই প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মামুডি গ্রামের বোঁক মুর্মু, ডোমেন সোরেনরা জানান। আমাদের এই জঙ্গলে নতুন অতিথি এসেছে। তাই আমরা বেশ খুশি। অন্যদিকে হাতির হামলা রুখতে বনদপ্তর থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার জন্যও আমরা খুশি।
বনদপ্তর থেকে জানা যায় জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া বাগমুন্ডি ঝালদা কোটশিলা অন্যদিকে মানবাজার মহকুমা এলাকার বান্দোয়ানে রয়েছে হাতির আস্তানা। বাগমুন্ডি মহকুমার মাঠা ঝালদা বাগমুন্ডি কোটশিলা এলাকায় যে হাতিগুলি রয়েছে সেই হাতির পাল ঢুকেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জঙ্গল থেকে। মোট ১২টি হাতি রয়েছে এই দলে।তাদের মধ্যেই দিন কয়েক আগে মামুডি জঙ্গলে হাতির বাচ্চা প্রসব করেছে। তবে বাচ্চা প্রসব করার পর হাতির দলটি এতটাই ক্ষিপ্ত হাতির বাচ্চাটি মাদি না পুরুষ বাচ্চা তা এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি বন দফতর।
বাচ্চা প্রসব করার পর এই সময় প্রায় দেড় কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে বাচ্চাটিকে কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরি করে থাকে মাকনা হাতির পাল। মাকনা হাতির পালকে নেতৃত্ব দেয় হাতির দলের মূল পান্ডা বলবান দাঁতাল হাতি। মাকনা হাতি খুবই ভয়ানক। চোখের পলকে এরা মানুষ সহ জীব জন্তুর ওপর হামলা চালাতে পারে। আর নিজেদের দলের অতিথিকে রক্ষা করতে বিপক্ষের ওপর হামলা চালাতে নেতৃত্ব দেয় দলের মূল পান্ডা বলবান দাঁতাল হাতি। সব মিলিয়ে হাতির পালে নতুন অতিথি আসায় একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন মামুডি জঙ্গল লাগোয়া প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকার মানুষ।