সাত সকালে দিঘার সৈকতে ভেসে উঠল হাজারে হাজারে মাছের দেহ, ছড়াল চাঞ্চল্য

Published : Jun 22, 2021, 11:56 AM ISTUpdated : Jun 22, 2021, 12:10 PM IST
সাত সকালে দিঘার সৈকতে ভেসে উঠল হাজারে হাজারে মাছের দেহ,  ছড়াল চাঞ্চল্য

সংক্ষিপ্ত

সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের জলে ভেসে এল দেহ সার দিয়ে পড়ে বিলুপ্ত  প্রজাতির কয়েক হাজার সামুদ্রিক জীব রীতিমত হতবাক পর্যটক, মৎস্যজীবী ও স্থানীয়রা সামুদ্রিক মৎস্য বিশেষজ্ঞদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে

অন্যান্য দিনের মতোই নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন দীঘার সৈকতের ধারে থাকা স্থানীয়রা। আচমকাই তাদের নজরে পড়ল সমুদ্র পাড়ে। সার সার দিয়ে কী যেন ভেসে আসছে, দেখতে পান তাঁরা। ভালো করে নজর করতেই দেখা যায়, ভেসে আসছে একের পর এক দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেসে আসছে বিলুপ্ত  প্রজাতির কয়েক হাজার সামুদ্রিক জীব ও মাছ। 

নানা আকারে, নানা ছাপ বিশিষ্ট ওই সামুদ্রিক জীবগুলিকে দেখে রীতিমত হতবাক পর্যটক, মৎস্যজীবী ও স্থানীয়রা। কেউ বলছেন গভীর সমুদ্রের সামুদ্রিক জীব, আবার কেউ বলছেন সামুদ্রিক বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। এগুলি সঠিক কী, তা নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য বিশেষজ্ঞদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। আবার কী কারণে এই জীবগুলি মারা গিয়েছে, তা নিয়েও গবেষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

স্থানীয়দের কথায় সকল এগারোটা নাগাদ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে বিলুপ্ত প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীগুলি। অনেকেই আবার বলছেন এটা সামুদ্রিক  ব্যঙ যা সাধারণত খাওয়া হয় না। কিন্ত এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অনেকে অনুমান করছেন গভীর সমুদ্রে যে সমস্ত ট্রলারগুলি বেরিয়েছে মাছ ধরতে, তাদের জালে এই সামুদ্রিক মাছ বা প্রাণীর ঝাঁক লেগে যাওয়ায় মেরে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। কিন্ত তাদের এভাবে মেরে ফেলা ঠিক নয়।

স্থানীয়রা বলছেন যারা এটি করছেন সম্পূর্ণ বেআইনি। সেই সঙ্গে তারা আরো বলেন এই সমস্ত প্রজাতির জীব সৈকতে এসে ঠেকার ফলে এগুলো পচে গলে জল যেমন দূষণ হবে, তেমনি ভাবে পরিবেশও দূষিত হবে। প্রশাসনের এব্যাপারেও নজর দেওয়া উচিত। 

অপর দিকে পর্যটকের কথায় এই প্রাণীগুলি সমুদ্র সৈকতে দেখে যেমন আনন্দ পেলেন তাঁরা, তেমনি নতুন এক প্রাণীর সন্ধান মিলল। তবে তাঁদের অভিযোগ, এই বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীকে যারা মেরেছে বা মেরে ফেলছে, তাদের বিষয় কড়া পদক্ষেপ করা দরকার। প্রশাসনের উচিত তাদের সচেতন করা।  সেই সঙ্গে এগুলোকে এখানে না ফেলে বালিতে বা দূরে কোথাও পুঁতে দেওয়া উচিত। এতে দূষণের হাত থেকে বাঁচবে দীঘার সমুদ্র সৈকত। 

PREV
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?