লাগাতার সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম। বিজেপি-তৃণমূলের এই সংঘর্ষের মাঝে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তার মাঝেই এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল দাঁতন থানার বাঁশবনী গ্রামে। অভিযোগ,তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে মারধর করে তাঁর মুখে প্রস্রাব ঢেলে দেয়। কেবল বিজেপি করার অপরাধে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। ঘটনার পরে অচেতন হয়ে পড়েন কোকিলা ঘড়াই নামের ওই বৃদ্ধা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে দাঁতন থানার পুলিশ। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে দাঁতনের ঘোলাই গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার জেরে বেশকিছু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে ওই নির্যাতিতা বৃদ্ধার ছেলেও রয়েছে। এরপর বাড়িতে বৌমাকে নিয়ে থাকতেন ওই বৃদ্ধা । কোকিলা দেবীর অভিযোগ,বাড়িতে পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে গত সোমবার রাত দশটা নাগাদ তৃণমূলের কিছু মহিলা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে ছাড়াও তাঁর ছেলের বউকে।
দু'জনকেই মারধর করে বাড়ির বাইরে টেনে আনে তৃণমূলের লোকজন। হামলার নেতৃত্ব দেয় এক সিভিক কর্মী। অভিযোগ, সে একটি পাত্রে প্রসাব করে বৃদ্ধার মুখে ঢেলে দেওয়া হয়। 'ঘটনার পরে অচেতন হয়ে আমি সেখানেই পড়েছিলাম। পরে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।'
এ বিষয়ে এলাকার বিজেপি নেতা মোশারফ মল্লিক জানান, উপ নির্বাচনে জয়ের উল্লাসে গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। এ ক্ষেত্রেও তাই করেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি ,সুবিচার চাইছি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। দলের নির্দেশ রয়েছে কোথাও অশান্তি না সৃষ্টির জন্য। আমাদের বদনাম করতে বিজেপির এটি একটি চক্রান্ত।