একটি পুরসভায় বসানো হয়েছে প্রশাসক, আর অন্যটির মেয়াদ শেষের মুখে। দল 'ভাঙিয়ে' নয়, এবার ভোটে জিতেই উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও ডালখোলা পুরসভা ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। আত্মবিশ্বাসী শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
মেয়াদ শেষের হওয়ার পর এক বছর কালিয়াগঞ্জ পুরসভা ছিল প্রশাসকের অধীনে। এই পুরসভায় শেষবার ভোট হয় ২০১৫ সালে। সেবার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতেই জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। ১টি করে আসন পায় সিপিএম ও বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রসের একজনও কাউন্সিলর ছিলেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিরিখে পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেস। কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি তারা, কয়েক মাস পরেই ঘটে পালাবদল। খোদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়ে দল ছাড়েন কংগ্রেসের ১১ জন কাউন্সিলর। সকলেই যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আস্থা ভোটে জিতে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার দখল করে রাজ্যের শাসকদল।
আরও পড়ুন: শিয়রে পুরভোট, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শুরু টিম পিকে-এর
২০১৯-র লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান ছিল ৬০ হাজার। কালিয়াগঞ্জেই ৫০ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল। বিজেপির সঙ্গে ব্য়বধান মুছে ফেলে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে জিতে যান শাসকদলের প্রার্থী। পুরভোটে কী হবে? কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পালের বক্তব্য, 'বিধানসভা উপনির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে দিয়েছে, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন। গত কয়েক বছরে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। ভোটে সব ওয়ার্ডেই জিতব।'
উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৮-তে। নির্বাচন হয়নি, পুরসভার বসানো হয়েছে প্রশাসক। ২০১৩ সালে ভোটে এই পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেসই। মাত্র দুটি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে কংগ্রেসের কাউন্সিলররা সকলেই যোগ দেন তৃণমূলে। ডালখোলা পুরসভাটিও তৃণমূলের দখলে চলে যায়। লোকসভা ভোটে ইসলামপুর মহকুমার এই শহরে সামান্য হলেও এগিয়ে ছিল বিজেপিই। তবে এবারের পুরভোটে উন্নয়নমূলক কাজে ভর করে ডালখোলা পুরসভাটি জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।