দলের নেতার উপর ভরসা করে এবার প্রতারিত হলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদেরই একাংশ! চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন খোদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ! অভিযোগ তেমনই। বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই।
ঘটনাটি ঠিক কী? পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই ব্লক স্তরের নেতার কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ, গত কয়েক বছরে কাউকে প্রাথমিক শিক্ষকপদে, তো কাউকে আবার সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা নিয়েছেন সোমনাথ। কিন্তু যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের কারও কেউ চাকরি পাননি। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, চাকরি না পেয়ে যখন টাকা ফেরত চান, তখন বেশ কয়েকজনকে ষাট লাখ টাকার চেক ধরিয়ে দেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই চেকও নাকি বাউন্স করেছে। শুক্রবার তমলুকে সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন অভিযোগকারীরা। ঘটনার পর থেকে কার্যত বেপাত্তা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা। জেলা পরিষদের দপ্তরে আসেননি, ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন:আলিপুরদুয়ারে আরএসএস-এর মিছিলে ধুন্ধুমার, সাংসদকে বাধা পুলিশের, দেখুন ভিডিও
সোমনাথ রায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তেমনই দাবি করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে সময়ে তমলুকে তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট করা হয় অভিযুক্ত সোমনাথ বেরাকে। কিন্তু এখন টাকা ভাগ-বাঁটোয়ার নিয়ে গন্ডগোলের কারণে বিষয়টি নিয়ে সবর হয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদেরই একাংশ। এর আগে মালদহে গাজোলেও চাকরি দেওয়ার নাম লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এলাকার প্রাক্তন তৃণমল বিধায়কের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।