পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের পর এক সপ্তাহও কাটল না। ফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। নিহত নেতার নাম বসুদেব মণ্ডল। তিনি ময়না থানার অন্তর্গত বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতেরব প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
নিহত নেতার ছেলে অনুপ মণ্ডল জানান, এ দিন সকালে তমলুকে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর সঙ্গে গোপাল নামে এক পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। আড়ংকিয়ারানাতে নিজের ওই সঙ্গীকে নামিয়ে একাই বাড়ি ফিরছিলেন বসুদেববাবু। অভিযোগ তখনরই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়ে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। দিনের আলোয় রাস্তার উপরে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বসুদেববাবুর স্ত্রী খুকুমণি মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে যান। এর পর আর রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না ওই তৃণমূল নেতার। তার পরেও কী কারণে হামলা চালানো হল, তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে ময়না থেকে বলাইপণ্ডা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। পরে স্থানীয় সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের অবশ্য দাবি এই খুনের সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবে যুক্ত নয়। তাঁর দাবি, ওই তৃণমূল নেতা এলাকায় বহু মানুষের থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে টাকা তুলেছিলেন। সেই বিবাদ থেকেই এ দিন তাঁর উপরে হামলা চালায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা।