অর্জুনের খাসতালুকে তৃণমূলের দাদাগিরি, ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া বিজেপির

  • ভাটপাড়া পুরসভায় পালাবদল
  • বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন ১২ জন কাউন্সিলর
  • পুরসভায় সংখ্যার বিচারে ফের এগিয়ে গেল রাজ্যের শাসকদল
  • লোকসভার পর ভোটে বিজেপিতে যোগ দেন ২৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 6, 2019 10:51 AM IST

কয়েক মাসেই পালাবদল। পুরানো দলে ফিরলেন বিজেপির ১২ কাউন্সিলর। উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়া পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। সংখ্য়ার বিচারে এখন পুরসভার ১৭টি আসন রাজ্যের শাসকদলের দখলে, বিজেপির হাতে ১৪টি আসন। ভোটাভুটি হলে ভাটপাড়া পুরসভায় ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূলই। 

লোকসভা ভোটের আগে দলবদলে ব্যারাকপুর আসন থেকে বিজেপি-এর টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং।  শুধু তাই নয়, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শাসকদলের সংগঠনেও ভাঙন ধরে।  তৃণমূলের হাতছাড়া হতে থাকে একের এক পুরসভা।  গত পুরভোটে ৩৫ আসনের ভাটপাড়া পুরসভায় ৩৪টি আসনেই জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। একটি আসন গিয়েছিল সিপিএমের দখলে। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর ২৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর যোগ দেন বিজেপিতে। একধাক্কায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫।  ভাটপাড়া পুরসভার বোর্ড গঠন করে গেরুয়া শিবির।  চেয়ারম্যান হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো।   বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার কথা ঘোষণা করলেন খোদ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, '১২ কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরছেন। ওদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুণ্ডামি করে, ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ওদের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা আছে। বিজেপি সেটা মুছবে কী করে!''

তাহলে এখন ভাটপাড়ার রাজনৈতিক সমীকরণটা কী দাঁড়াল? ভাটপাড়া পুরসভার ৫ জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসেই থেকে গিয়েছিলেন।  বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন ১২ জন। পুরসভার শাসকদলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭।  অন্যদিকে ১২ জন কাউন্সিলরকে খুঁইয়ে বিজেপি-এর হাতেও কিন্তু খাতায়-কলমে ১৭ টিই আসন আছে। তবে যদি পুরসভার ভোটাভুটি হয়, তাহলে গেরুয়াশিবিরের পক্ষে ভোট পড়বে ১৪টি। কারণ, লোকসভা ভোটের আগে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলরের পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্জুন সিং। সেই আসনে এখনও ভোট হয়নি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যে ২৯ জন কাউন্সিলর গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছে।  আর বিজেপি শিবিরের আর একজন কাউন্সিলর এখন জেলে। তিনি ভোট দিতে পারবে না। 

Share this article
click me!