টার্গেট মুর্শিদাবাদ, কংগ্রেসকে পুরভোটে উড়িয়ে দিতে হুইপ জারি তৃণমূলের

Published : Oct 23, 2021, 05:25 PM IST
টার্গেট মুর্শিদাবাদ, কংগ্রেসকে পুরভোটে উড়িয়ে দিতে হুইপ জারি তৃণমূলের

সংক্ষিপ্ত

দুই পুরসভাতে প্রায় ১৭ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ের পথ সুনিশ্চিত করে বিজেপি প্রার্থী। কার্যত ওই দুই পুরসভার ভোট ব্যাঙ্ক বৃদ্ধি করতে দলের মধ্যে ভুল ভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব

গত লোকসভা নির্বাচন তো বটেই বিধানসভা নির্বাচনেও শাসক দল তৃণমূলের ব্যাপক ভরাডুবি হয় মুর্শিদাবাদ বিধানসভা এলাকার মুর্শিদাবাদ ও আজিমগঞ্জ পুর এলাকায়। এবার ওই দুই পুর এলাকায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠলেন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেত্রী শাওনী সিংহ রায়। সেইমতো এক রুদ্ধদ্বার আলোচনার মাধ্যমে  একাধিক হুইপ জারি করেন তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে। 

এই ব্যাপারে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “জেলায় মোট পাঁচটি পুরসভা রয়েছে। সব কটি পুরসভাকে পাখির চোখ করে আমরা সংগঠন ঢেলে সাজিয়ে প্রচারে নেমে গিয়েছি। সরকারের জনমুখী এবং কল্যাণকর প্রকল্পগুলি পুরবাসির সামনে তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে।” মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা নিয়ে গঠিত মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র। গত লোক সভা নির্বাচন থেকেই পুর সভাদুটিতে শাসক দলের চেয়ে ভোটের অঙ্কে টপকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

দলের গোষ্ঠী কোন্দল তো বটেই,  তার উপর ওই দুই পুর এলাকায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হওয়ার কারনে বিজেপির কাছে মাত্র আড়াই হাজার ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী শাওনী সিংহ রায়। তবে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তিনি বুথ স্তরে সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলতে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। পুজোর পরেই পুর ভোট, একথা  মাথায় রেখে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি। 

এর মধ্যে জিয়াগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ থানা এলাকায় নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটিয়ে হারানো জমি উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আবার দলের মধ্যে উপদল গড়ে কেউ অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারি দেন শাওনী। লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ  পুরসভা এলাকার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টিতে এবং বিধান সভায় ১৩ টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, একই ভাবে জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে লোকসভা তো বটেই, বিধান সভাতেও এগিয়ে গেরুয়া শিবির।

মূলত ওই দুই পুরসভাতে প্রায় ১৭ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ের পথ সুনিশ্চিত করে বিজেপি প্রার্থী। কার্যত ওই দুই পুরসভার ভোট ব্যাঙ্ক বৃদ্ধি করতে দলের মধ্যে ভুল ভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবে শারদ উৎসবের দিনগুলিতেও জন সংযোগ ঘটাতে কৌশলি হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বকে ।

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর