১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে উত্তর ২৪ পরগণার রানাঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙা গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা। বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় জানান, “কেন্দ্র সরকার বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না।’’
১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা। ১০০ দিনের কাজের খতিয়ান দেখতে উত্তর ২৪ পরগণার রানাঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙা গ্রামে এসেছিল তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সম্পূর্ণ কাজের খতিয়ান পরিদর্শন করে ফেরার সময় ওই দলের সদস্যরা গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের সামনে পড়েন।
আউলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে বিক্ষোভ করে জানান তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ১০০ দিনের কাজের কোনও টাকাই পাচ্ছেন না, এমনকি যাঁরা মাঠে চাষ করছেন, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকছে না। তাদের জব কার্ডে টাকা ঢুকলেও সেই টাকা পঞ্চায়েত সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়ে অন্যদেরকে ভাগ বাটোয়ারা করে দিচ্ছে। স্থানীয় সুপারভাইজারদের কাছে টাকা চাইতে গেলে সেখান থেকে ফেরত পাঠিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, টাকা দেওয়া হয়ে গেছে। ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা, বারবার বিডিও এবং পঞ্চায়েত অফিসের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুফল পাননি বলে জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তাঁদের আশ্বস্ত করে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের জানানো হয়, তাঁরা নিজেদের কাজের সম্পূর্ণ টাকা পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবর্তমানে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় জানান, “কেন্দ্র সরকার বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না।’’ গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁর তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সভাপতি জানান, গ্রামের গরীব নিম্নস্তরের মানুষদের মিথ্যা বলে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টাকা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে উত্তেজিত করে তোলা হচ্ছে, এ সবই বিজেপির চক্রান্ত। গ্রামের মানুষ ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না কেন্দ্র সরকার টাকা না পাঠানোর কারণেই।
আরও পড়ুন-
হর ঘর তিরঙ্গা, অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের
ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে ভাসল উত্তর ও মধ্য কলকাতা, রবিবার ছুটির দিন, তবুও নাকাল হল সাধারণ মানুষ
'ছেলে ঘুমাল পাড়া জুড়াল, গব্বর এসেছে দেশে, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠ, নইলে তোর জীবন যাবে শেষে' বললেন মুখ্যমন্ত্রী