
SSC Scam News: মিষ্টিতে এবার যোগ্য-অযোগ্য চাকরি হারাদের কথা! উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর স্টেশন এলাকার শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভান্ডারে এখন দেখা মিলছে “যোগ্য” ও “অযোগ্য” দু'ধরনের ক্ষীরের মিষ্টি সন্দেশ। যা দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন অনেক মানুষ। কেউ আবার নতুন ধরনের এই মিষ্টি কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন খাওয়ার জন্য। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা পুনরায় যাতে সসম্মানে নিজের কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সেই বার্তাকেই তুলে ধরা হচ্ছে মিষ্টির মধ্যে দিয়ে। নিয়োগ পত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার মত তাই শেষ পাতেও যোগ্য মিষ্টির বিক্রি বেশি বলেই মেনে নিচ্ছেন দোকানদারও। অযোগ্য মিষ্টি পড়ে রয়েছে দোকানের প্লেটেই।
কড়া পাকের এই যোগ্য ও অযোগ্য ক্ষীরের মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে কুড়ি টাকা ও ৫০ টাকা দু'ধরনের আকৃতিতে। দোকানদার কমল সাহা জানান, যোগ্য সন্দেশের চাহিদা অনেক বেশি। মানুষ একদিকে যেমন খেতে আসছেন, তেমনি দেখে মজা নিতেও আসছেন। অর্ডার দিলেও মিলছে এই সন্দেশের। অনেকেই উৎসাহ নিয়ে যোগ্য সন্দেশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে খাওয়ার জন্য। কেউ কেউ আবার এই সন্দেশ কিনে যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার আশাকে সমর্থনও করছেন। যোগ্য শিক্ষকরা ফিরে পাক কাজ, এই মিষ্টি যেন তারই শুভেচ্ছার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ২০১৬ এসএসসি'র ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, চিহ্নিত অযোগ্য (টেন্টেড) নন এমন শিক্ষকেরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৩১ মের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তারা চলতি বছরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে যাদের যোগ্য ও অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা যায়নি, সেই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি আপাতত বহাল রইল।
বিচারপতির নির্দেশ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস নবম, দশম এবং একাদশ, দ্বাদশে পড়াতে পারবেন যোগ্য তাঁরা। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই মর্মে ৩১ মে-র মধ্যে আদালতে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে। বর্ষশেষের আগেই পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়া। তবে এই নির্দেশ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাঁদের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্দেশই বহাল থাকবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ ডি-তে প্রচুর অবৈধ নিয়োগ রয়েছে। সেই কারণে তাঁদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে রাজ্য সরকার-পর্ষদ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে। কড়া নির্দেশ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।