তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তাঁর ক্যামাকস্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে নন্দীগ্রামের জন্য অন্য কৌশল নিতে পারেন অভিষেক।
পাখির চোখ আগামী বছর রাজ্যে হওয়া বিধানসভা নির্বাচন। তারজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তপোক্ত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। দলের নেতা ও জনপ্রিতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর নন্দীগ্রাম নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন রণকৌশল নিতে চলেছেন অভিষেক।
25
অভিষেকের উদ্যোগ
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তাঁর ক্যামাকস্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। জেলা ধরে ধরে তৃণমূল নেতা, বিধায়ক,সাংসদ-সহ সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হচ্ছে। কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন ট্র্যাটেজি নিচ্ছেন অভিষেক। তেমনই বলছে তৃণমূলের একটা সূত্র।
35
নন্দীগ্রামের পৃথক রণকৌশল
তৃণমূল সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা নিয়ে আলাদা করে বৈঠক হবে। খুব তাড়াতাড়ি নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার তৃণমূল নেতাদের ডাকা হবে। সেই বৈঠক ছোটবড়় নেতার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ডাকা হবে। নন্দীগ্রাম নিয়ে একের বৈঠক করবেন বলেও অভিষেকের ঘনিষ্টসূত্রের খবর। নন্দীগ্রাম ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা করছে বলেও সূত্রের খবর।
ক্ষমতা দখলের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের খাস তালুক হিসেবেই পরিচিত। নন্দীগ্রাম আন্দোলন রাজ্যে পালাবদল ও তৃণমূলের মহাকরণ দখলের একটি স্তম্ভ। কিন্তু সেই স্তম্ভ গতবার বিধানসভা নির্বাচনে হাতছাড়়া তৃণমূলের। নন্দীগ্রামের বিধায়ক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হারিয়ে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। সেই কারণে নন্দীগ্রাম ফিরে পাওয়া তৃণমূলের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
55
তৃণমূলের ক্ষত নন্দীগ্রাম
নন্দীগ্রাম হাতছাড়া হওয়া ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই কেন্দ্র থেকে হেরে যাওয়া তৃণমূলের কাছে একটি বড় অঘটন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন 'নন্দীগ্রাম প্রতারণা করেছে'। তার থেকেই স্পষ্ট নন্দীগ্রাম তৃণমূলের স্পর্শকাতর এলাকা। সেই কারণে গতবারের হারের বদলা নিতে এবার প্রায় এক বছর আগে থেকেই গুটি সাজাতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই কারণে এই বিধানসভা এলাকার জন্য সম্পূর্ণ অন্য রণকৌশল নিতে চলেছেন তিনি।