বড় পরিবর্তন আসছে বীরভূমে তৃণমূলের রাজনীতিতে। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কাজল শেখের সঙ্গে চা খেয়ে পদ হারালেন তৃণমূল নেত।
বীরভূমের রাজনীতির রাশ নিজের হাতে টানতে মরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের তিহার জেল থেকে ফেরার পর এই বিষয়টি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার কাজল শেখের ঘনিষ্ট এক তৃণমূল নেতার পদ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কাজল শেখের সঙ্গে বসে চা খাওয়ার অভিযোগে পদ খোয়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। গত ৩১ অক্টোবর কালীপুজোর উদ্বোধনে সিউড়ির কচুজোড় গিয়েছিলেন বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সদাইপুরের লালমোহনপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস নেত ও বুথ সভাপতি শেখ খয়রাত ওরফে কট। রবিবার তিনি জানতে পারেন তাঁকে বুথ সভারতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় বুথ সভাপতি করা হয়েছে শেখ গিয়াসুদ্দিনকে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত জানান বলেও জানাগেছে তৃণমূল সূত্র।
শেখ খয়রাতের দাবি এই কালীপুজোয় কাজল শেখ ও বিকাশ রায় চৌধুরীর ২ জনের আশার কথা ছিল। কিন্তু বিকাশ রায় চৌধুরী সেখানে যাননি। সেখানে উপস্থিত কাজল শেখের সঙ্গে কথা বলেন আর চা খান। শেখ খয়রাতের প্রশ্ন, 'আমাদের দলের নেতাদের সঙ্গে বসে চা খেয়ে কোন অপরাধটাকরেছি? তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। বিকাশববু এলে তাঁর সঙ্গে বসেও চা খেতাম। সাধারণ কর্মী হিসেবে সেটাই আমার কাজ।'
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিকাশ রায় চৌধুরী বলেছেন, শেখ খয়রাতের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় ভুরিভুরি অভিযোগ কয়েছে। বোমা মারা, ভয় দেখান, তোলা তোলা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও তিনি জনিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।