হুগলির রিষড়ায় শোভাযাত্রা চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। চন্দননগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সন্ধ্যে ৬টা ১৫ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হুগলির রিষড়ায়। শোভাযাত্রা চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। চন্দননগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সন্ধ্যে ৬টা ১৫ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিলটি নির্ধারিত পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তবে আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাছর ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্তারা। তিনি আরও জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে রিষড়ার এই সংঘর্ষ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে যথারীতি তরজা শুরু হয়েছে।
বিজেপিঃ
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এদিন রিষড়ার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন শোভাযাত্রার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রিষড়া থানা এলাকার জিটি রোডে। তিনি আরও বলেন, মিছিল ছিল শান্তিপুর্ণ। জগন্নাথ মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। সেখানেই পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। এদিনের ঘটনায় স্থানীয় পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, মিছিল মহিলা আর শিশুরা ছিল- তারা গেরুয়া পতাকা নিয়ে হাঁঠছিল। রাস্তার পাশ থেকেই তাঁদের ওপর হামলা চালান হয়। তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্বে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেননি। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি আরও বলেছেন পাথরের আঘাতে পুলিশের কয়েকজনও আহত হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসঃ
মিছিল নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বলেছে, জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, রাম নবমীর দুই দিন পরে মিছিল আওয়োজন করার কী প্রয়োজন ছিল। বিজেপি রাজনৈতিক লাভের জন্যই বাংলায় দাঙ্গা করতে চায়। তিনি আরও বলেন, বিজেপি কিছু ধর্মীয় সংবেদনশীল পকেটে মিছিল নিয়ে সমস্যা তৈরি করতে চায়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতেই এই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, সমাবেশে যারা তরবারির মত অস্ত্র বহন করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে চেয়েছিল।
আগেই হাওড়ার শিবপুরে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই গোষ্ঠী সংর্ঘষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। । হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। তৈরি হয় দাঙ্গা পরিস্থিতি। তারপরই এলাকার দখল নেয় পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকায় দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাঙ্গাবাজদের দেশের শত্রু বলে চিহ্নিত করে তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি প্রথমেই হাতের বাইরে চলে যায়।