
Bakultala Murder Case : বকুলতলা থানার অন্তর্গত বুইচবাটি গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মূল অভিযুক্তকে। নিহত সায়েম খান মদ্যপান ও রাস্তার উপদ্রবের প্রতিবাদ করেছিলেন।
বকুলতলা থানার অন্তর্গত বুইচবাটি গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মূল অভিযুক্তকে। নিহত সায়েম খান মদ্যপান ও রাস্তার উপদ্রবের প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই 'অপরাধে' দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ হারান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার একাংশ যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিল। সায়েম খান সেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে ওই দলটি। প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরে তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বকুলতলা থানায় ১৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার সকালে পুলিশ বকুলতলা থানার এলাকা থেকেই দু'জন মূল অভিযুক্ত মুক্তার লস্কর ও কুতুবউদ্দিন লস্করকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার পর বুইচবাটি গ্রামে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
মৃত সায়েম খানের পরিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ‘‘এই দুষ্কৃতীদের লাগাম টানা না গেলে ভবিষ্যতে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।