
Jagannath Temple Digha: এখনও পুজোর ব্যবস্থা করা হয়নি। যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা শুধু মন্দিরের কাঠামো দেখছেন। কিন্তু তাতেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রণামী বাক্স ভরে গিয়েছে। ৩০ এপ্রিল এই মন্দির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকেই এই মন্দিরে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল দিঘা। এই সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক যান। এখন বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্র সৈকতে এরকম বড়মাপের মন্দির তৈরি করা হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাঙালি ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছে। এবার পুরীর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সমুদ্রের পাশে জগন্নাথ মন্দির পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের কাছে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামীর বাক্স উপচে পড়ছে। প্রথম ১৫ দিনেই ৯ লক্ষ টাকার প্রণামী জমা পড়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, প্রতি মঙ্গলবার প্রণামী বাক্সে জমা পড়া অর্থ গোনা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দুপুর একটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অর্থ গোনা হয়েছে। কয়েনে জমা পড়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ১০ টাকা, ২০ টাকার নোটও জমা পড়েছে বিস্তর। যাঁরা এই মন্দির দর্শনে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই প্রণামী বাক্সে অর্থ জমা দিচ্ছেন। বেশিরভাগ পুণ্যার্থীই ছোট অঙ্কের নোট বা কয়েন জমা দিচ্ছেন। এই কারণেই প্রণামীর অর্থ গুনতে এত সময় লাগছে।
উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে মারাত্মক ভিড় হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই মন্দির দর্শন করতে যাচ্ছেন। প্রণামীর বাক্স ভরে যাচ্ছে বলে আরও ১০টি প্রণামী বাক্স তৈরি করা হচ্ছে। নতুন বাক্সগুলি হচ্ছে স্টেইনলেস স্টিলের। পুণ্যার্থীরা যাতে এই বাক্সগুলিতে অর্থ দান করতে পারেন, তার জন্য মন্দিরের বিভিন্ন অংশে প্রণামী বাক্সগুলি রাখা থাকবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।