
Durga Puja : শান্তিপুরের কুমোরপাড়ার গলিতে মাটির গন্ধ যেন এক আলাদা আবেশ। এখানেই জন্ম নেয় প্রতিমা, মাটির ছোঁয়ায়, শিল্পীর তুলির টানে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই শিল্পে ভরসা রেখেছেন ভক্তরা।
Durga Puja : শান্তিপুর থেকে বনগাঁ: উমার ট্রেনযাত্রা
শান্তিপুরের কুমোরপাড়ার গলিতে মাটির গন্ধ যেন এক আলাদা আবেশ। এখানেই জন্ম নেয় প্রতিমা, মাটির ছোঁয়ায়, শিল্পীর তুলির টানে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই শিল্পে ভরসা রেখেছেন ভক্তরা।
এই ঐতিহ্যের অন্যতম নাম গোরাচাঁদ পাল। তাঁর হাতের গড়নে মাটির প্রতিমা যেন প্রাণ পায়, চোখে চোখ রেখে যেন কথা বলে ওঠে উমা। বনগাঁর সুরঞ্জন মণ্ডল গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পূজোর প্রতিমার জন্য ভরসা রেখেছেন কেবল গোরাচাঁদের উপর। টানা ১১ বছর ধরে শান্তিপুরের প্রতিমাই আলোকিত করেছে বনগাঁর পূজোমণ্ডপ।
আগে প্রতিমা পৌঁছাত বহু কষ্টে, রানাঘাট ঘুরে। এখন সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, প্রতিমার যাত্রা আজও উৎসবেরই অঙ্গ। শান্তিপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উমাকে তোলার মুহূর্ত যেন পরিণত হয় মহোৎসবে। ভক্তদের ভিড়, প্রণাম, আর এক ঝলক দেবী দর্শনের আকাঙ্ক্ষা— সব মিলিয়ে স্টেশন চত্বর ভরে ওঠে পূজোর আনন্দে।
এ বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ট্রেনের সময়সূচি বদলেছে, অপেক্ষা বেড়েছে আরও কিছুটা। কিন্তু সেই অপেক্ষাই যেন হয়ে উঠেছে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। প্রতিমার সামনে হাত জোড় করে প্রণাম, ভক্তির আবহ, আর মিলনমেলার আনন্দ।
শান্তিপুরের মাটির গন্ধ, বনগাঁর আলো— এই দুই শহরকে বাঁধা রাখে এক প্রতিমার যাত্রা। উমা আসেন, উমা পৌঁছান, আর তার মাঝেই তৈরি হয় এক অনন্ত বন্ধন।