নিয়োগ দুর্নীতি ৩৫০ কোটি টাকার, অপেক্ষা রয়েছে আরও বড় চমকের- শান্তনুকে আদালতে পেশ করে দাবি ইডির

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। শান্তনুকে আবারও হেফাজতে চেয়ে তদন্তকারীদের দাবি নিয়োদ দুর্নীতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার।

শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার সময় ইডি জানাল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার। পাশাপাশি এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগের ইঙ্গিত পেয়েছে তদন্তকারীরা। তেমনই জানিয়েছে ইডি।

সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাকে জেরার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চায় ইডি। সেই সময়ই ইডি আদালতে বলে তাদের হাতে এমন কিছু নাম রয়েছে যা সকলকে তমকে দেবে। চাইলে বিচারককে তারা কেসডায়েরিও দিতে পারে। এপর্যন্ত তদন্তে তাদের মনে হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। আর সেই কারণেই শান্তনুতে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে শান্তনুর বিশাল সম্পত্তির তথ্য সামনে এসেছে। যার যে দুটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও সোনার খনির থেকে কম কিছু নয় বলেও দাবি করেছে ইডি। শান্তনুর কাথে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য রয়েছে। কোথা থেকে কীভাবে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা তোলা হত, বখরার টাকা কাতে কাতে দিতে হত - তার অনেকটাই শান্তনু জানে বলেও দাবি তদন্তকারীগের।

Latest Videos

তদন্তকারীরা এদিন আদালতে জানায় , আগে তাদের মনে হয়েছিল এই দুর্নীতি ১১০ কোটি টাকার। কিন্তু এখন তাদের অনুমান এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে আরও বড় কোনও ব্রেকথ্রু তাদের হাতে আসবে বলেও আশাবাদী তারা। ইডির আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আগামী দিনে নতুন তথ্য সামনে আসবে। তাই শান্তনুকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে, তার উৎসও জানতে চায় ইডি।

শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেই সময় তাকে দুই দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আজই শেষ হয়েছে হেফাজতের দিন। এদিন আদালতে পেশ করা হয় শান্তনুকে। এদিন আদালতে যাওয়ার সময় শান্তনু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাথা কুন্তল। যে তদন্ত অন্যদিকে চালিত করার চেষ্টা করছে। আর সেই ফাঁকে টাকা অন্যরাজ্যে পাচার করছে।

যদিও তদন্তকারীদের হাতে যা তথ্য রয়েছে তাতে স্পষ্ট যে কুন্তল শান্তনু আর তাপস একে অপরকে চিনতি। শান্তনু নিজের ডায়েরিতে সমস্ত তথ্য লিখে রাখত। রীতিমত খাতা মেনটেইন করেই নিয়োগ দুর্নীতি টাকা তোলা হয়েছে। যারা চাকরি পেয়েছে তাদের নামও যেমন লেখা রয়েছে, তেমনই লেখা রয়েছে যাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কথায় দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)