জেলা সফরে জনসংযোগে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামের স্কুলে গিয়ে সময় কাটালেন। কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে।
জেলা সফরে গিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত জোর দিলেন জনসংযোগে। একদিকে তিনি গ্রামের মহিলাদের রান্না করা খাবার খান। কথা বলেন। অন্যান্য সফরগুলির থেকে এটা খুব একটা আদালা নয়। কারণ চা তৈরি করে বিক্রি করা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকে মোমো তৈরি করলেও দেখা গেছে হালফিলের জেলা সফরে। তবে এবার উত্তর ২৪ পরগনার টাকিকে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে গিয়েছিলেন স্কুলে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটান স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে। তাদের মধ্যে তিনি চকোলেট আর সফ্টটয়েস বিলি করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে রীতিমত খুশি ক্ষুদেরাও। তিনি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে জামাকাপড়ও বিলি করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরেরর ছবি শেয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে। দলের পক্ষ থেকে বলা মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে শিশুদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হাতে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর টাকি সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা এলাকাই ঘিরে রাখা হয়েছে। সকালে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরে দেখেন আসপাশের এলাকা। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আগে থেকেই লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই লঞ্চেই ইছামতী নদীতে সফর করেন। এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছে তাঁর বৌদি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা। এদিনও টাকির ম্যানগ্রোভ জঙ্গল ঘিরে যে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয়ে তা ঘুরে দেখেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর টাকির প্রত্যন্ত এলাকায় যান মমতা। সেখানে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। দুপুরে গেস্টহাউসে ফেরেননি মমতা। তিনি প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজন সারেন। দুপুরের মেনুতে সেরকম কোনও নামি দামি খাবার ছিল না। গ্রামের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের খাবারই হাসি মুখে খেলেন। ওল-আলু দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল আর ভাতই খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় তিনি তৃপ্তি করে তাদের হাতের তৈরি খাবার খান। মমতা বলেছেন, তিনি ঝাল একদমই খান না। কিন্তু এদিন সুস্বাদু খাবার খেলেন। স্থানীয় মহিলারা মমতাকে ঘিরে ধরে বসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মমতা আরও জানিয়েছেন , গত ১২-১৩ বছর তিনি দুপুরে ভাত খানন না। এদিনে তিনি তাঁর নিজের রুটিন ভেঙে স্থানীয়দের মাধে বসেই সাধারণ খাবার খেলেন।