পশ্চিমবঙ্গের কোন স্কুলে কত খালি পদ? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল রাজ্য সরকার!
সেই ২০২২ সাল থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেই জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। বর্তমানে আদালতে চলছে একাধিক মামলা। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।
একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক, অন্যদিকে চাকরি নেই গোটা রাজ্যে। বর্তমানে চাকরির বাজার এতটাই খারাপ যে অগণিত যোগ্য মানুষেরা বেকার হয়ে দিন কাটাচ্ছে।
আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি কথা শেয়ার করতে চলেছি যা স্পষ্টভাবে বলে দেবে যে এই দুর্নীতির জন্য বড় বড় দায়িত্ব সম্পন্ন পদেও বসে রয়েছে অযোগ্য ব্যক্তিরা। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলিতে কত শূণ্যপদ রয়েছে সেটি অজানা।
ইতিমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে একের পর এক বিচার চেয়ে রয়েছে বহু চাকরি প্রার্থীরা।
তার মধ্যে এরকম একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সকলের মধ্যে এক গভীর কৌতুহলের সৃষ্টি করছে। শূন্যপদ জানাটা সকল শিক্ষকদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।
হয়তো সরকারের চাপে এই তথ্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে এই তথ্য প্রকাশ না হলে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কিন্তু বেড়েই চলবে।
অনিমেষ হালদার পেশায় একজন শিক্ষক, বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। তিনি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যার ফলে শিক্ষকতা ছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব সামলে থাকেন। বিশেষত শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে তার ওপর।
বদলি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে তিনি শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা SPIO-এর কাছে RTI করেন। আর তারপরে উঠে আসে এক অবাক করা তথ্য
এই RTI-এর আবেদন প্রথমে পৌঁছায় শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে। তারপর যায় স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর হাতে। অবশেষে হাতে এসে পৌঁছায় গ্রান্ট ইন এইড সেকশনের।
RTI-তে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে কটি শূন্যপদ (Vacancies in Schools) রয়েছে। আর এই প্রশ্নের উত্তর শুনে হতবাক হয়েছেন সকলে। বিকাশ ভবনের কাছে কোন হিসেব নেই এমনটাই জানিয়েছে তারা।